০২:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিস্তার একফোঁটা পানি আনতে পারেনি আওয়ামী লীগ : মির্জা ফখরুল

মোঃ রেজাউল করিম, লালমনিরহাট প্রতিনিধি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ ১৫ বছরে বাংলাদেশকে বেচে দিয়েছে কিন্তু তিস্তার একফোঁটা পানি আনতে পারে নাই। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫৪টা নদী আছে, প্রত্যেকটা নদীতেই তারা বাঁধ বসিয়ে রেখেছে। সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর নেতৃত্বে তিস্তার তীরবর্তী ১১টি পয়েন্টে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

কর্মসূচি বাস্তবায়নে তিস্তার বুকে মঞ্চ তৈরি, খাবার ব্যবস্থা, তাঁবু টানিয়ে রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সমাবেশে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কৃষক, মৎস্যজীবী, পরিবেশকর্মী, চিকিৎসক থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের সদস্যরা এক কাতারে সামিল হয়েছেন শুকিয়ে যাওয়া তিস্তাকে রক্ষার দাবিতে।

অবস্থান কর্মসূচিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকের যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, এটাকে আমরা শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাব। মাওলানা ভাসানী যেমন তিস্তা রক্ষার আন্দোলন শুরু করেছিলেন, বহুদিন পর আজ আসাদুল হাবিব দুলু ভাই সেই আন্দোলন আবার শুরু করেছেন।

অন্তর্বর্তী সরকার নিজেদের নিরপেক্ষ সরকার বলে, তাই ভারতের কাছে তিস্তার ন্যায্য পানি তাদের চাইতে হবে বলে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, দ্রæত সংস্কার করে নির্বাচন দিন। জনগণ অনেক বছর ভোট দিতে পারেনি। তাই জনগণ চায় ভোট দিয়ে নিজের প্রতিনিধিকে সংসদে পাঠিয়ে, তাদের দ্বারা তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করাতে। অনেকে বলে, আমরা নাকি ভোট ভোট করি, ভোট হলে দেশে যে অস্থিতিশীলতা চলছে, তা বন্ধ হবে। জনগণ প্রতিনিধি পাবে তাদের কথা বলার।

তিনি আরও বলেন, আমরা ভারতকে বন্ধু হিসেবে দেখতে চাই, তবে ন্যায্য পানির ন্যায্য হিস্যা বুঝিয়ে দিতে হবে। সীমান্তে আমাদের নাগরিককে গুলি করে হত্যা বন্ধ করতে হবে।

কর্মসূচিতে আগত জনতার উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, লড়াই না করে কিছু পাওয়া যায় না, লড়াই করে আমাদের অধিকারগুলো আদায় করব, ন্যায্য পাওনা বুঝে নেব।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন নতুন লড়াই শুরু হয়েছে, সেটা হলো, বাঁচা মরার লড়াই, স্বাধীনতার লড়াই। জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই।

তিস্তা নদীর অবস্থা দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। সঠিক উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে এই অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা আরও সংকটে পড়বে। তাই আন্দোলনকারীরা দ্রুত কার‌্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহবায়ক জানিয়েছেন।

বাখ//আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৫:৪৮:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
১১৪ জন দেখেছেন

তিস্তার একফোঁটা পানি আনতে পারেনি আওয়ামী লীগ : মির্জা ফখরুল

আপডেট : ০৫:৪৮:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ ১৫ বছরে বাংলাদেশকে বেচে দিয়েছে কিন্তু তিস্তার একফোঁটা পানি আনতে পারে নাই। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫৪টা নদী আছে, প্রত্যেকটা নদীতেই তারা বাঁধ বসিয়ে রেখেছে। সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর নেতৃত্বে তিস্তার তীরবর্তী ১১টি পয়েন্টে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

কর্মসূচি বাস্তবায়নে তিস্তার বুকে মঞ্চ তৈরি, খাবার ব্যবস্থা, তাঁবু টানিয়ে রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সমাবেশে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কৃষক, মৎস্যজীবী, পরিবেশকর্মী, চিকিৎসক থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের সদস্যরা এক কাতারে সামিল হয়েছেন শুকিয়ে যাওয়া তিস্তাকে রক্ষার দাবিতে।

অবস্থান কর্মসূচিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকের যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, এটাকে আমরা শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাব। মাওলানা ভাসানী যেমন তিস্তা রক্ষার আন্দোলন শুরু করেছিলেন, বহুদিন পর আজ আসাদুল হাবিব দুলু ভাই সেই আন্দোলন আবার শুরু করেছেন।

অন্তর্বর্তী সরকার নিজেদের নিরপেক্ষ সরকার বলে, তাই ভারতের কাছে তিস্তার ন্যায্য পানি তাদের চাইতে হবে বলে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, দ্রæত সংস্কার করে নির্বাচন দিন। জনগণ অনেক বছর ভোট দিতে পারেনি। তাই জনগণ চায় ভোট দিয়ে নিজের প্রতিনিধিকে সংসদে পাঠিয়ে, তাদের দ্বারা তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করাতে। অনেকে বলে, আমরা নাকি ভোট ভোট করি, ভোট হলে দেশে যে অস্থিতিশীলতা চলছে, তা বন্ধ হবে। জনগণ প্রতিনিধি পাবে তাদের কথা বলার।

তিনি আরও বলেন, আমরা ভারতকে বন্ধু হিসেবে দেখতে চাই, তবে ন্যায্য পানির ন্যায্য হিস্যা বুঝিয়ে দিতে হবে। সীমান্তে আমাদের নাগরিককে গুলি করে হত্যা বন্ধ করতে হবে।

কর্মসূচিতে আগত জনতার উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, লড়াই না করে কিছু পাওয়া যায় না, লড়াই করে আমাদের অধিকারগুলো আদায় করব, ন্যায্য পাওনা বুঝে নেব।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন নতুন লড়াই শুরু হয়েছে, সেটা হলো, বাঁচা মরার লড়াই, স্বাধীনতার লড়াই। জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই।

তিস্তা নদীর অবস্থা দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। সঠিক উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে এই অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা আরও সংকটে পড়বে। তাই আন্দোলনকারীরা দ্রুত কার‌্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহবায়ক জানিয়েছেন।

বাখ//আর