০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাস চলাচল নিয়ে মালিক শ্রমিকদের বিরোধ, মানববন্ধন

সুনামগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের মালিকানাধীন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস ‘নীলাদ্রি পরিবহন’ সুনামগঞ্জ- সিলেট সড়কে চলাচল করতে না দিলে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে শ্রমিক সংগঠনটি। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দাবি না মানলে পরদিন থেকে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা শহরের মল্লিকপুর নতুন বাসস্টেশন এলাকায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন সুনামগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
জেলা পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি ফয়জুর নুর আহমেদ এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক এর পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ট্রাক শ্রমিক সমিতির সভাপতি আল আমিন কালা মিয়া, লেগুনা শ্রমিক সভাপতি আবদুল খালিক, শ্রমিক কল্যাণের পৌর শাখার সভাপতি জসিম উদ্দিনসহ নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, শ্রমিকদের ঘাম জড়ানো সঞ্চয়ের টাকা দিয়ে একটি গাড়ি ক্রয় করা হয়েছে। এই গাড়িটি চলাচলে বাধা প্রদান করছে কতিপয় মালিক সমিতি। আমরা বলতে চাই, শ্রমিকরা এই দেশের চালিকাশক্তি, আমাদের আন্দোলন দেখিয়ে দেওয়া বা শেখানোর কোন সুযোগ নেই। আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করেই টিকে আছি। আমরাই দেশের চালিকাশক্তি। তিলে তিলে ঘাম জড়ানো টাকায় কেনা গাড়িটি অবিলম্বে চলাচলের সুযোগ করে দেওযার জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, সুনামগঞ্জ মালিক সমিতি এবং সিলেট মালিক সমিতির সাথে বারবার বসার পরেও তারা আমাদের আবেদন আমলে নেন নি। সুনামগঞ্জ জেলার যে ৬টি শ্রমিক ইউনিয়ন রয়েছে, এই ৬ ইউনিয়নের সমন্বয়ে আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে জেলার সকল শ্রমিক ইউনিয়নের কোন শ্রমিকই পরিবহন চালাবে না। কোন শ্রমিককে ভয়ভীতি দেখানো হলে আরও কঠোর কর্মসূচি, অর্থাৎ প্রয়োজনে অবরোধের কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুনামগঞ্জ জেলা বাস-মিনিবাস মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মিয়া জানিয়েছেন, নিলাদ্রী নামে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে বাস চালু আছে। এই নামে বাস চালাতে হলে যারা বর্তমান নিলাদ্রীর মালিকায় আছেন, অর্থাৎ জেলার চারটি বাস মালিক সমিতির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। এখন গাড়ী এনে জোর করে নিলাদ্রী পরিবহন নাম দিয়ে একই সড়কে চালাতে চাচ্ছেন তারা। এটি সাংঘর্ষিক হবে। এ ধরণের আচরণ কাম্য নয়। উদ্দেশ্যমূলকভাবে কয়েকজন শ্রমিক নেতা বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
বাখ//এস