০১:৩১ অপরাহ্ন, রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পৈত্রিক সম্পত্তি ও ঘরবাড়ি দখল করার মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগের বিরুদ্ধে পাল্টা সাংবাদ সম্মেলন

এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পৈত্রিক সম্পত্তি ও ঘরবাড়ি দখল করার মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগের বিরুদ্ধে পাল্টা সাংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুর বারোটায় কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন গোলাম মোস্তফা ও গাউস মাতুব্বর নামের সহোদর দুই ভাই। এ সময় কলাপাড়া পৌর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দুলাল ঘরামী ও মো. খবির সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিনক্স মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন । সংবাদ সম্মেল লিখিত বক্তব্য পাঠ করে গোলাম মস্তফা।
তিনি বলেন, ২০১২ সালে কলাপাড়া পৌর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ছামেদ আলীর অংশ থেকে জে,এল নং-৬ খেপুপাড়া ২১০ নং  মৌজায় এস,এ ২১০ নং খতিয়ানের যাহার জমা খারিজ খতিয়ান নং-১৩০৩, দাগ নং-৩৩৭, জমির পরিমান ০.১৬৫০ একর জমি তারা দুই ভাই ক্রয় করেন। ২০১২ সাল থেকেই ওই জমিতে তিনটি টিনশেড ঘর নির্মাণ ও জমির চতুর সীমানায় আধাপাকা বাউন্ডারি দিয়ে বসবাস করে আসছেন। বর্তমানে তাদের নির্মিত ঘরে দুলাল ঘরামি নামের এক ব্যক্তি তাদের অনুমতিক্রমে বসবাস করেন।
কিন্তু গত ১০ ফেব্রুয়ারী ওই এলাকার নুর আলম তার দলবল নিয়ে তাদের বাড়ির ভিতরে অনাধিকার প্রবেশ করে ঘর তৈরির চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় তার ভাই গাউস মাতুব্বর নুর আলম সহ তিনজনের নামে কলাপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে কলাপাড়া থানার এসআই শাহ আলম তদন্ত পূর্বক ঘটনার সত্যতা পেয়ে নুর আলমকে ঘর তোলা থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়া তিনি উভয়পক্ষকে স্ব-স্ব কাগজপত্রসহ স্থানীয় আইনজীবী সহকারে সালিশ বৈঠকে বসার সময় দেন। কিন্তু নুর আলম বিভিন্ন তালবাহানা কথাবার্তা বলে সালিশ বৈঠকে না বসে ওই বাড়ি জবর দখলের প্রচেষ্টা চালায়। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি নুর আলম তাদের বিরুদ্ধে মনগড়া কাল্পনিক ও মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করেন।
গোলাম মস্তফা আরও বলেন, মূলত নুর আলমের পিতা আব্দুর রহিম জে,এল নং-০৬, খেপুপাড়া মৌজার এস,এ ২১০ নং খতিয়ানের ৮ টি সাব কবলা দলিলের মাধ্যমে ০.৯১ একর ভূমি বিক্রয় হস্তান্তর করেন। যা তার প্রাপ্ত সম্পত্তি হইতেও অনেক বেশি। কিন্তু বর্তমানে নুর আলম ওই খতিয়ানের ০.৬৬ একর জমি জোরপূর্বক দাবি করেন। বর্তমানে আব্দুর রহিমের বিক্রিত সকল জমি গ্রহীতাগন ভোগ দখলে আছেন।
তিনি আরও বলেন, আব্দুর রহিমের সঙ্গে চুক্তিপত্র দলিল সৃষ্টির কারণে মাসুদ শিকদার নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে মহামান্য হাইকোর্ট একটি মামলার উদ্ভব হয়। উক্ত মামলার সঙ্গে তাদের ক্রয়কৃত ভূমির দাতাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই।
তিনি আরও বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, মনগড়া, তথ্যবিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে সংবাদ সম্মেলন করায় সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন। তাই তারা ওই সংবাদ সম্মেলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে নুর আলম বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। গোলাম মস্তফা ও গাউস মাতুব্ব  যার কাছ থেকে জমি ক্রয় করেছে সে তাদের কাছে ওভার সেল দিয়েছে।
বাখ//আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৫:২৫:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৯১ জন দেখেছেন

পৈত্রিক সম্পত্তি ও ঘরবাড়ি দখল করার মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগের বিরুদ্ধে পাল্টা সাংবাদ সম্মেলন

আপডেট : ০৫:২৫:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পৈত্রিক সম্পত্তি ও ঘরবাড়ি দখল করার মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগের বিরুদ্ধে পাল্টা সাংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুর বারোটায় কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন গোলাম মোস্তফা ও গাউস মাতুব্বর নামের সহোদর দুই ভাই। এ সময় কলাপাড়া পৌর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দুলাল ঘরামী ও মো. খবির সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিনক্স মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন । সংবাদ সম্মেল লিখিত বক্তব্য পাঠ করে গোলাম মস্তফা।
তিনি বলেন, ২০১২ সালে কলাপাড়া পৌর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ছামেদ আলীর অংশ থেকে জে,এল নং-৬ খেপুপাড়া ২১০ নং  মৌজায় এস,এ ২১০ নং খতিয়ানের যাহার জমা খারিজ খতিয়ান নং-১৩০৩, দাগ নং-৩৩৭, জমির পরিমান ০.১৬৫০ একর জমি তারা দুই ভাই ক্রয় করেন। ২০১২ সাল থেকেই ওই জমিতে তিনটি টিনশেড ঘর নির্মাণ ও জমির চতুর সীমানায় আধাপাকা বাউন্ডারি দিয়ে বসবাস করে আসছেন। বর্তমানে তাদের নির্মিত ঘরে দুলাল ঘরামি নামের এক ব্যক্তি তাদের অনুমতিক্রমে বসবাস করেন।
কিন্তু গত ১০ ফেব্রুয়ারী ওই এলাকার নুর আলম তার দলবল নিয়ে তাদের বাড়ির ভিতরে অনাধিকার প্রবেশ করে ঘর তৈরির চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় তার ভাই গাউস মাতুব্বর নুর আলম সহ তিনজনের নামে কলাপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে কলাপাড়া থানার এসআই শাহ আলম তদন্ত পূর্বক ঘটনার সত্যতা পেয়ে নুর আলমকে ঘর তোলা থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়া তিনি উভয়পক্ষকে স্ব-স্ব কাগজপত্রসহ স্থানীয় আইনজীবী সহকারে সালিশ বৈঠকে বসার সময় দেন। কিন্তু নুর আলম বিভিন্ন তালবাহানা কথাবার্তা বলে সালিশ বৈঠকে না বসে ওই বাড়ি জবর দখলের প্রচেষ্টা চালায়। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি নুর আলম তাদের বিরুদ্ধে মনগড়া কাল্পনিক ও মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করেন।
গোলাম মস্তফা আরও বলেন, মূলত নুর আলমের পিতা আব্দুর রহিম জে,এল নং-০৬, খেপুপাড়া মৌজার এস,এ ২১০ নং খতিয়ানের ৮ টি সাব কবলা দলিলের মাধ্যমে ০.৯১ একর ভূমি বিক্রয় হস্তান্তর করেন। যা তার প্রাপ্ত সম্পত্তি হইতেও অনেক বেশি। কিন্তু বর্তমানে নুর আলম ওই খতিয়ানের ০.৬৬ একর জমি জোরপূর্বক দাবি করেন। বর্তমানে আব্দুর রহিমের বিক্রিত সকল জমি গ্রহীতাগন ভোগ দখলে আছেন।
তিনি আরও বলেন, আব্দুর রহিমের সঙ্গে চুক্তিপত্র দলিল সৃষ্টির কারণে মাসুদ শিকদার নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে মহামান্য হাইকোর্ট একটি মামলার উদ্ভব হয়। উক্ত মামলার সঙ্গে তাদের ক্রয়কৃত ভূমির দাতাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই।
তিনি আরও বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, মনগড়া, তথ্যবিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে সংবাদ সম্মেলন করায় সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন। তাই তারা ওই সংবাদ সম্মেলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে নুর আলম বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। গোলাম মস্তফা ও গাউস মাতুব্ব  যার কাছ থেকে জমি ক্রয় করেছে সে তাদের কাছে ওভার সেল দিয়েছে।
বাখ//আর