বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ

যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে দিনাজপুরের অন্যতম কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ বলছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে একটি এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে অপর একটি ইউনিট থেকে আবারো বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হবে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বড়পুকুরিয়ায় উৎপাদিত কয়লা ব্যবহার করে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫২৫ মেগাওয়াটের তিনটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৫২৫ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ১নং এবং ২ নং ইউনিট মিলে মোট ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন,আর ৩ নং ইউনিটটি ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন।
এর মধ্যে ২ নং ইউনিট যান্ত্রিক ত্রæটির কারণে দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র সচল ছিল ১ নং ও ৩ নং ইউনিট। যা থেকে প্রায় ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে জাতীয় গ্রীডে সংযোগ করা হয়। তবে যান্ত্রিক ত্রæটির কারণে গত ১৫ ফেব্রæয়ারি ৩ নম্বর ইউনিট বন্ধ করে দেয়া হয়। শুধুমাত্র চালু ছিল এক নম্বর ইউনিটটি। সেই ইউনিটের বয়লারে লিকেজ হওয়ায় যান্ত্রিক ত্রæটি দেখা দেয়। পরে গত মঙ্গলবার বিকেলে ১নং ইউনিটটিও বন্ধ করা হয়। ফলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের উৎপাদন কার্যক্রম।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, গত মঙ্গলবার বিকেলে চলমান ১২৫ মেগাওয়াটের ১ নম্বর ইউনিটের বয়লারের পাইপ ফেটে লিকেজ হওয়ার কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সচল ৩নং ইউনিটিও একই কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, ১ নং ইউনিট আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা সচল করতে পারবো এবং ৩নং ইউনিটটি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সচল করা সম্ভব হবে বলে এই কর্মকর্তা আশা প্রকাশ করেন।
বাখ//আর