গৌরনদীতে বকনা বাছুর ক্রয়ে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার হতদরিদ্র জেলেদের মাঝে বিতরণের জন্য বকনা বাছুর ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ফোকাস ট্রেডিং নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। সিডিউল অনুযায়ী বাছুরের ওজন কম ও রুগ্নসহ নিম্মমানের হওয়ায় ইউএনও বাছুর বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন না করেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বাছুরগুলো ফেরত নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
গৌরনদী উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, দেশীয় প্রজাতির মাছ, শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিকল্প কর্মসংস্থান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গৌরনদী উপজেলার ৩৫ জন হতদরিদ্র জেলেদের মধ্যে বকনা বাছুর বিতরণের জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা চত্বরে বকনা বাছুর নিয়ে আসে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু আবদুল্লাহ খান ও মৎস্য কর্মকর্তা প্রসেনজিৎ দেবনাথ বাছুর বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করতে আসেন। এ সময় বাছুরের ওজন কম ও রুগ্ন থাকায় উদ্বোধন না করেই নিজ কার্যালয়ে ফিরে যান ইউএনও।
বকনা বাছুর নিতে আসা একাধিক সুবিধাভোগী জানান, সিডিউল অনুযায়ী প্রত্যেকটি বকনা বাছুরের সর্বনিন্ম ওজন ৮০ কেজি থাকতে হবে। কিন্তু বিতরণের জন্য ঠিকাদার যে বকনা বাছুর নিয়ে এসেছে তাতে ৪৫ কেজি থেকে ৫৫ কেজি ওজন হতে পারে তাও রুগ্ন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রসেনজিৎ দেবনাথ বলেন, আমরা শুধু হতদরিদ্র জেলেদের তালিকা তৈরি করেছি। পিডি অফিস থেকে বাছুর ক্রয়ের টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। টেন্ডারের সিডিউল অনুযায়ী ঠিকাদার বাছুর গুলো ক্রয় না করার কারণে বাছুরগুলো ফেরত পাঠানো হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু আবদুল্লাহ খান বলেন, প্রতিটা বাছুরের ওজন ৮০ কেজি করে থাকার কথা থাকলেও তুলনামূলক ভাবে বাছুরের ওজন অনেক কম ও রুগ্ন বাছুর আনা হয়। তাই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বাছুরগুলো ফেরত নিয়ে সঠিক ওজনের বাছুর সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বক্তব্যের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ফোকাস ট্রেডিংয়ের মালিক আরিফুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এমনকি তার পাঠানো প্রতিনিধি আসাদুল ইসলাম এবিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাছুরগুলো উপজেলা কার্যালয়ের সামনেই বাঁধা অবস্থায় রয়েছে।
বাখ//আর