০২:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে কলেজ অধ্যক্ষের উপর হামলার ঘটনায় ৩ জন গ্রেফতার

বিশেষ প্রতিবেদক
ফরিদপুর সরকারী সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মনজুরুল ইসলামের উপর হামলার ঘটনার মূলহোতা বাংলাদেশ জাতীয় পাটি (বিজেপি) ফরিদপুর জেলার সভাপতি আরিফুর রহিম রনিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসাদউজ্জামান জানান, গত ১৫ জানুয়ারি রাতে সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষকে মোটর সাইকেলযোগে আসা তিন দুবৃর্ত্ত হামলা চালায়। এসময় তারা অধ্যক্ষকে লোহার পাইপ দিয়ে মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সে গুরুতর আহত হয়। অধ্যক্ষের উপর হামলার ঘটনায় তার স্ত্রী জাহিদা আক্তার কেয়া বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলার সূত্র ধরে এবং সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করা হয়।
পরে তাদের গ্রেফতারে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় বিজেপি নেতা আরিফুর রহিম রনি, সাইমন ও জুয়েলকে। হামলার সাথে জড়িত অপরজনকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হামলার সাথে জড়িত গ্রেফতারকৃতরা জানান, বিজেপি নেতা আরিফুর রহিম রনির নির্দেশে তারা অধ্যক্ষের উপর হামলা চালায়। তাদের তিনজনকে ভাড়া করে রনি। হামলার পর তারা বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে ছিল। হামলার সাথে জড়িত দুইজনকে নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পুলিশ।
এ সময় আলিপুর এলাকার একটি বাড়ী থেকে হামলার কাজে ব্যবহারকৃত মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়। পরে গ্রেফতারকৃত জুয়েল ও সাইমনের বাড়ী থেকে হামলার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিষপত্র উদ্ধার করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, কোতয়ালী থানার এসআই ফাহিম ফয়সাল বলেন, অধ্যক্ষের উপর হামলার ঘটনার তেমন কোন ক্লু ছিলনা। তিনটি বিষয় নিয়ে কাজ করতে গিয়ে কলেজে ভর্তির বিষয়ে একটি ক্লু পাওয়া যায়। এর উপর ভিত্তি করেই আসামীদের সনাক্ত করা হয়।
পুলিশ জানায়, বিজেপি নেতা রনি একজন ছাত্রীকে কলেজে ভর্তি করানোর জন্য অধ্যক্ষকে চাপ প্রয়োগ করে করে। অধ্যক্ষ সেই ছাত্রীকে ভর্তি না করলে রনি ক্ষুব্দ হয়। এরপর সে অধ্যক্ষকে দেখে নেবে বলে হুমকি দেয়। এ ঘটনার কয়েকদিন পর তার উপর হামলার ঘটনা ঘটে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত  পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা জানান, সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মনজুরুল ইসলামের উপর হামলা চালানো হয় কলেজের ভর্তির একটি বিষয় নিয়ে। বিজেপি নেতা রনি অধ্যক্ষের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে হামলার ঘটনা ঘটায়।
বাখ//এস

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৮:৪৭:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
১১০ জন দেখেছেন

ফরিদপুরে কলেজ অধ্যক্ষের উপর হামলার ঘটনায় ৩ জন গ্রেফতার

আপডেট : ০৮:৪৭:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ফরিদপুর সরকারী সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মনজুরুল ইসলামের উপর হামলার ঘটনার মূলহোতা বাংলাদেশ জাতীয় পাটি (বিজেপি) ফরিদপুর জেলার সভাপতি আরিফুর রহিম রনিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসাদউজ্জামান জানান, গত ১৫ জানুয়ারি রাতে সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষকে মোটর সাইকেলযোগে আসা তিন দুবৃর্ত্ত হামলা চালায়। এসময় তারা অধ্যক্ষকে লোহার পাইপ দিয়ে মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সে গুরুতর আহত হয়। অধ্যক্ষের উপর হামলার ঘটনায় তার স্ত্রী জাহিদা আক্তার কেয়া বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলার সূত্র ধরে এবং সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করা হয়।
পরে তাদের গ্রেফতারে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় বিজেপি নেতা আরিফুর রহিম রনি, সাইমন ও জুয়েলকে। হামলার সাথে জড়িত অপরজনকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হামলার সাথে জড়িত গ্রেফতারকৃতরা জানান, বিজেপি নেতা আরিফুর রহিম রনির নির্দেশে তারা অধ্যক্ষের উপর হামলা চালায়। তাদের তিনজনকে ভাড়া করে রনি। হামলার পর তারা বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে ছিল। হামলার সাথে জড়িত দুইজনকে নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পুলিশ।
এ সময় আলিপুর এলাকার একটি বাড়ী থেকে হামলার কাজে ব্যবহারকৃত মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়। পরে গ্রেফতারকৃত জুয়েল ও সাইমনের বাড়ী থেকে হামলার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিষপত্র উদ্ধার করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, কোতয়ালী থানার এসআই ফাহিম ফয়সাল বলেন, অধ্যক্ষের উপর হামলার ঘটনার তেমন কোন ক্লু ছিলনা। তিনটি বিষয় নিয়ে কাজ করতে গিয়ে কলেজে ভর্তির বিষয়ে একটি ক্লু পাওয়া যায়। এর উপর ভিত্তি করেই আসামীদের সনাক্ত করা হয়।
পুলিশ জানায়, বিজেপি নেতা রনি একজন ছাত্রীকে কলেজে ভর্তি করানোর জন্য অধ্যক্ষকে চাপ প্রয়োগ করে করে। অধ্যক্ষ সেই ছাত্রীকে ভর্তি না করলে রনি ক্ষুব্দ হয়। এরপর সে অধ্যক্ষকে দেখে নেবে বলে হুমকি দেয়। এ ঘটনার কয়েকদিন পর তার উপর হামলার ঘটনা ঘটে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত  পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা জানান, সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মনজুরুল ইসলামের উপর হামলা চালানো হয় কলেজের ভর্তির একটি বিষয় নিয়ে। বিজেপি নেতা রনি অধ্যক্ষের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে হামলার ঘটনা ঘটায়।
বাখ//এস