বাউফলে চাষীর তরমুজ লুট মামলা তুলে নিতে বিএনপি নেতার হুমকি

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে তরমুজ চাষি মো. মানিক ব্যাপারীর তরমুজ ভর্তি একটি ট্রলার ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় মামলা হয়। ওই মামলায় সদ্য বহিস্কৃত ছাত্রদল নেতা সাইফুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে সাইফুলের বাবা একই মামলার আসামী নাজিরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক এনায়েত খান মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী কৃষক মো. মানিক ব্যাপারী।
হুমকির প্রতিবাদে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে বিএনপি নেতা এনায়েত ও তার ছেলে সাইফুলের চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও তরমুজ চাষীরা। এ বিক্ষোভ মিছিলে প্রায় ২শতাধিক নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৫ ফ্রেবুয়ারি) চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চর রায়সাহেব এলাকার তরমুজ চাষী মো. মানিক ব্যাপারী ৮৬০ পিস তরমুজ ট্রলারে করে বরিশাল মোকামে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় পার্শ্ববর্তী নাজিরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক এনায়েত মেম্বারের ছেলে সাইফুল ইসলাম দলবল নিয়ে এসে ট্রলার চালককে মারধর করে ট্রলার ছিনিয়ে নিমদী লঞ্চঘাট এলাকায় নিয়ে যায়। চাষী মানিক ট্রলার ফিরিয়ে আনতে গেলে তার কাছে ৩লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন সাইফুল। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় তাকে (চাষী মানিক) মারধর করে অন্য ট্রলারে করে তরমুজ লুট করে নিয়ে যায়। পরে ৫হাজার টাকার বিনিময়ে ট্রলার ছাড়িয়ে আনেন চাষী মানিক।
এ ঘটনায় বুধবার (২৬ ফেব্রæয়ারি) রাতে চাষী মানিক বাদী হয়ে এনায়েত মেম্বার, তার ছেলে সাইফুল ইসলাম সহ ৪ জনের নামে বাউফল থানায় মামলা করেন। ওই রাতেই পুলিশ সাইফুলকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার সাইফুল নাজিরপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ২০২১ সালে তাকে বহিষ্কার করেন উপজেলা ছাত্রদল। এখন সে যুবদলের রাজনীতির সাথে জড়িত। এনায়েত মেম্বার ও তার ছেলে সাইফুল উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ তালুকদারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
মামলার বাদী মানিক অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি নেতা এনায়েত মামলা তুলে দিতে বলছেন। মামলা তুলে না দিলে ঘর থেকে তুলে নিয়ে মারা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা এনায়েত খানের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। তিনি আত্মগোপনে চলে গেছেন।
এদিকে এবিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই মো. মজিবুল হক বলেন, একজন আসামীকে গ্রেপ্তার করে ইতিমধ্যে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামীদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মামলার বাদী অব্যশই ন্যায় বিচার পাবেন। কেউ যদি মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে থাকে, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাখ//আর