০১:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অল্পেই গুটিয়ে গেলো ইংল্যান্ড, আফগানিস্তানের স্বপ্নভঙ্গ

স্পোর্টস ডেস্ক

আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে খেলতে হলে আফগানিস্তানের কাছে সমীকরণটা ছিলো এমন যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ডকে জিততে হতো খুব বড় ব্যবধানে। কিন্তু সেই সম্ভাবনা মিলিয়ে গেলো ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের সংগ্রহে।

আজ শনিবার (১ মার্চ) করাচিতে মার্কো ইয়ানসেনের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে রীতিমতো দিশেহারা ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ। ইয়ানসেন নিজে তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট। সঙ্গে নিয়েছেন দুইটি দারুণ ক্যাচও।

উইয়ান মুল্ডারের ঝুলিতেও গিয়েছে ৩ উইকেট। ইংল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে ১৭৯ রান। সর্বোচ্চ ৩৭ রান জো রুটের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এসেছে বোলার জোফরা আর্চারের ব্যাট থেকে।

দক্ষিণ আফ্রিকা এই ম্যাচে যে ব্যবধানেই হারুক না কেন, তার জন্য আফগানিস্তানের পেছনে পড়ার সুযোগ থাকছে না। বোলিং ইনিংস শেষেই বলা চলে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমিফাইনালে চলে গেলো দক্ষিণ আফ্রিকা।

ইংল্যান্ড যদি ৩০০ রান করতো তাহলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারতে হতো ২০৭ রানের ব্যবধানে। আফগানিস্তানের জন্য সমীকরণ ছিলো এতটাই কঠিন। এমন এক সমীকরণ সামনে রেখে খেলা শুরু করেছিলো দুই দল।

কিন্তু ইংলিশ ব্যাটারদের ম্যাচ জমানোর কোনো সুযোগই দিলো না প্রোটিয়া বোলিং লাইনআপ। প্রথম ওভারেই খাটো লেন্থের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ফিল সল্ট। তৃতীয় ওভারে প্রায় একই রকমের বলে মিড অফে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জেমি স্মিথ। সপ্তম ওভারে কট এন্ড বোল্ড হন বেন ডাকেট। শুরুর ৩ উইকেটই মার্কো ইয়ানসেনের ঝুলিতে।

জো রুট এবং হ্যারি ব্রুক শুরু করেছিলেন ধীরগতিতে। খানিকটা থিতু হয়েই আগ্রাসী হওয়ার পরিকল্পনা ছিলো দুজনের। কিন্তু ৬২ রানের জুটি শেষে দুজনেই যখন খানিক আগ্রাসী হওয়ার চিন্তায়, তখনই কেশব মহারাজের আঘাত। ব্রুক উড়িয়ে খেলতে চেয়েছিলেন। বাউন্ডারি লাইনে দারুণ ক্যাচ নিয়েছিলেন ইয়ানসেন।

পরের ওভারেই মুল্ডারের বলে বোল্ড জো রুট। লিয়াম লিভিংস্টোন, জেমি ওভারটনরা পারেননি দলের বিপর্যয়ে হাল ধরতে। সেই কাজটা করেছেন আর্চার। ৪ চারের মাধ্যমে করেছেন ২৫ রান। ততোক্ষণে অবশ্য প্রোটিয়া বোলারদের কল্যাণে রীতিমতো বিধ্বস্ত ইংলিশ ব্যাটিং লাইনআপ।

ইংলিশদের হয়ে জস বাটলার ৪৩ বলে ২১ রান পর্যন্ত গেলেও সেখান থেকে দলকে আর বিপর্যয়ের মুখ থেকে ফেরাতে পারেননি তিনি।

ইংলিশদের ইনিংসটা শেষ পর্যন্ত ১৭৯ রানে থেমেছে। অন্যদিকে দুর্দান্ত বোলিং করেই নিজেদের সেমিফাইনাল পুরোপুরি নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের জন্য এখন লক্ষ্য গ্রুপের সেরা হয়ে সেমিফাইনালে পা রাখা।

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৭:৫৬:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
৭১ জন দেখেছেন

অল্পেই গুটিয়ে গেলো ইংল্যান্ড, আফগানিস্তানের স্বপ্নভঙ্গ

আপডেট : ০৭:৫৬:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে খেলতে হলে আফগানিস্তানের কাছে সমীকরণটা ছিলো এমন যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ডকে জিততে হতো খুব বড় ব্যবধানে। কিন্তু সেই সম্ভাবনা মিলিয়ে গেলো ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের সংগ্রহে।

আজ শনিবার (১ মার্চ) করাচিতে মার্কো ইয়ানসেনের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে রীতিমতো দিশেহারা ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ। ইয়ানসেন নিজে তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট। সঙ্গে নিয়েছেন দুইটি দারুণ ক্যাচও।

উইয়ান মুল্ডারের ঝুলিতেও গিয়েছে ৩ উইকেট। ইংল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে ১৭৯ রান। সর্বোচ্চ ৩৭ রান জো রুটের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এসেছে বোলার জোফরা আর্চারের ব্যাট থেকে।

দক্ষিণ আফ্রিকা এই ম্যাচে যে ব্যবধানেই হারুক না কেন, তার জন্য আফগানিস্তানের পেছনে পড়ার সুযোগ থাকছে না। বোলিং ইনিংস শেষেই বলা চলে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমিফাইনালে চলে গেলো দক্ষিণ আফ্রিকা।

ইংল্যান্ড যদি ৩০০ রান করতো তাহলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারতে হতো ২০৭ রানের ব্যবধানে। আফগানিস্তানের জন্য সমীকরণ ছিলো এতটাই কঠিন। এমন এক সমীকরণ সামনে রেখে খেলা শুরু করেছিলো দুই দল।

কিন্তু ইংলিশ ব্যাটারদের ম্যাচ জমানোর কোনো সুযোগই দিলো না প্রোটিয়া বোলিং লাইনআপ। প্রথম ওভারেই খাটো লেন্থের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ফিল সল্ট। তৃতীয় ওভারে প্রায় একই রকমের বলে মিড অফে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জেমি স্মিথ। সপ্তম ওভারে কট এন্ড বোল্ড হন বেন ডাকেট। শুরুর ৩ উইকেটই মার্কো ইয়ানসেনের ঝুলিতে।

জো রুট এবং হ্যারি ব্রুক শুরু করেছিলেন ধীরগতিতে। খানিকটা থিতু হয়েই আগ্রাসী হওয়ার পরিকল্পনা ছিলো দুজনের। কিন্তু ৬২ রানের জুটি শেষে দুজনেই যখন খানিক আগ্রাসী হওয়ার চিন্তায়, তখনই কেশব মহারাজের আঘাত। ব্রুক উড়িয়ে খেলতে চেয়েছিলেন। বাউন্ডারি লাইনে দারুণ ক্যাচ নিয়েছিলেন ইয়ানসেন।

পরের ওভারেই মুল্ডারের বলে বোল্ড জো রুট। লিয়াম লিভিংস্টোন, জেমি ওভারটনরা পারেননি দলের বিপর্যয়ে হাল ধরতে। সেই কাজটা করেছেন আর্চার। ৪ চারের মাধ্যমে করেছেন ২৫ রান। ততোক্ষণে অবশ্য প্রোটিয়া বোলারদের কল্যাণে রীতিমতো বিধ্বস্ত ইংলিশ ব্যাটিং লাইনআপ।

ইংলিশদের হয়ে জস বাটলার ৪৩ বলে ২১ রান পর্যন্ত গেলেও সেখান থেকে দলকে আর বিপর্যয়ের মুখ থেকে ফেরাতে পারেননি তিনি।

ইংলিশদের ইনিংসটা শেষ পর্যন্ত ১৭৯ রানে থেমেছে। অন্যদিকে দুর্দান্ত বোলিং করেই নিজেদের সেমিফাইনাল পুরোপুরি নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের জন্য এখন লক্ষ্য গ্রুপের সেরা হয়ে সেমিফাইনালে পা রাখা।