০৮:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৪০০ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতায় দেশসেরা সুবর্ণা

ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে গড়ে ওঠা একটি বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুবর্ণা খাতুন। দারিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া এই শিক্ষার্থী পড়ালেখার পাশাপাশি ক্রীড়াক্ষেত্রেও চমক দেখিয়েছে। ৫৩ তম শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দীর্ঘ লাফ ও ৪০০ মিটার রিলে দৌঁড় প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।
সূবর্ণার এই অসামান্য সম্মান অর্জন করায় সহপাঠী ও শিক্ষকরা উচ্ছ্বসিত। তার এমন কৃতিত্বে গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এলাকায় মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ র্যালী করেছে সূবর্ণার সহপাঠীরা। সূবর্ণার বাড়ি কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রাণিগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরেরহাট বাজার এলাকায়। সে ফকিরেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
সূবর্ণা জানায়, আমি খেলাধুলা অনেক পছন্দ করি। আমাদের স্কুলে খেলাধুলার প্রতিযোগিতা হলে আমি অংশগ্রহণ করি। এবারেও শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিই। উপজেলা, জেলা ও বিভাগ পর্যায়ে খেলে জাতীয় পর্যায় গেছি। সেখানেও আমি দীর্ঘ লাফ (লং জাম্প) ও ৪০০ মিটার রিলে দৌঁড়ে প্রথম হয়েছি। অনেক ভালো লাগছে, সরকারিভাবে সহায়তা পেলে শুধু জাতীয় পর্যায় না আন্তর্জাতিকভাবে খেলে দারিদ্রপীড়িত জেলা কুড়িগ্রাম তথা বাংলাদেশের সুনাম অর্জন করতে চাই।
সূবর্ণার বাবা বাচ্চা মিয়া বলেন, আমরা নদী ভাঙা মানুষ। পড়ালেখা বুঝি না। কিন্তু ছাওয়াটা পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলাতেও ভালো। স্কুলের শিক্ষকরা তাকে নিয়ে জাতীয় পর্যায় খেলে নাকি প্রথম হয়েছে। খুব খুশি হইছি, কি যে ভালো লাগছে।।
ফকিরেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন বলেন, আমাদের স্কুলটির সুনাম রয়েছে। চিলমারী উপজেলায় এটি শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান এবং গত আট বছর ধরে আমি উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হিসেবে বিবেচিত হয়েছি। সরকারি-বেসরকারিভাবে বিভিন্ন ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় আমাদের স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। সেখানে সফলতার স্বাক্ষর রাখে।
সব চেয়ে এবার আমি বেশি খুশি হয়েছি, আমাদের দুজন শিক্ষার্থী সূবর্ণা এবং সম্মিত জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করেছে। সূর্বণা দীর্ঘ জাম্প ও ৪০০ মিটার দৌঁড়ে দেশসেরা হয়েছে। সম্মিত ও সেখানে অংশগ্রহণ করেছিল। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে , তারা আমাদের শিক্ষার্থীদর অনুপ্রেরণা, শুধু জাতীয় পর্যায় নয়, তাদেরকে যেন আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ক্রীড়াবিদ হিসেবে তৈরি করতে পারি।
বাখ//এস