১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার ফ্রি-কিকে নেইমারের দারুণ এক গোল

স্পোর্টস ডেস্ক

কর্নার থেকে সরাসরি করা গোলকেই বলা হয় অলিম্পিক গোল। ক্যাম্পেওনাতো পলিস্তায় ইন্তারনাসিওনাল দি লিমেইরার বিপক্ষে সান্তোসের হয়ে নেইমার করেছিলেন অবিশ্বাস্য এক অলিম্পিক গোল। কে থামায় এই নেইমারকে এবার পাওলিস্তার কোয়ার্টার ফাইনালে রেড বুল ব্রাগান্তিনোর বিপক্ষে প্রথম গোলটি এসেছে নেইমারের পা থেকে, সেটাও দারুণ এক ফ্রি কিকে।

আল হিলালে ভুলে যাওয়ার মতো দেড় মৌসুম কাটিয়ে শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফিরে গেছেন নেইমার জুনিয়র। ব্রাজিলের ক্লাবটিতে প্রথম তিন ম্যাচে গোল পাননি, মাঠে আলাদা করে নজর কাড়ার মতো কিছু করতে পারেননি – এ নিয়ে বিস্তর সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। তবে সমালোচনার জবাব দিতে খুব বেশি দেরি করেননি নেইমার।

সোমবার (৩ মার্চ) আবারও গোলের দেখা পেয়েছেন নেইমার। পাওলিস্তার কোয়ার্টার ফাইনালে রেড বুল ব্রাগান্তিনোর বিপক্ষে আজ ২-০ ব্যবধানের জয়ে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে উঠেছে সান্তোস। সান্তোসের প্রথম গোলটি এসেছে নেইমারের পা থেকে, সেটাও দারুণ এক ফ্রি কিকে। নেইমারের দৃষ্টিনন্দন গোলের পর ম্যাচের ৫৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হোয়াও সিমিথ। ওই গোলেও পরোক্ষ অবদান আছে নেইমারের।

পেনাল্টি দিয়ে গোলের খাতা খোলা, এরপর সরাসরি কর্নার থেকে গোল, এখন আবার ফ্রি-কিকে বল জড়ালেন জালে- নেইমার যেন রীতিমতো উড়ছেন। মাঠের এমন ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পুরস্কারও পেয়েছেন নেইমার। প্রায় ১৭ মাস পর জাতীয় দলের প্রাথমিক দলে ডাক পেয়েছেন তিনি!

ম্যাচের শুরুতেই ৮ম মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে ড্রিবল করে বক্সে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন নেইমার। কিন্তু বক্সের ঢোকার ঠিক আগ মুহূর্তে নেইমারকে ফাউল করে বসেন ব্রাগান্তিনো ডিফেন্ডার পেদ্রো এনরিকে। সান্তোস যেখানে ফ্রিকিক পেয়েছে, সেখান থেকে গোল করার কাজটা মোটেও সহজ ছিল না। কিন্তু নেইমারের জন্য সেটা দুর্বোধ্য হতে পারেনি। জোরাল শটে কাছের পোস্ট দিয়ে বল জড়ায় জালে। অবশ্য নেইমারের শট ব্রাগান্তিনোর এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে কিছুটা দিক বদলেছে।

দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের জন্য বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি ক্লাবটিকে। ম্যাচের ৫৬ মিনিটে কর্নার পায় সান্তোস। নেইমারের নেওয়া কর্নারে পাঞ্চ করেছিলেন ব্রাগান্তিনোর গোলকিপার ক্লেইটন শোয়েনবার। ফিরতি বল গুলিয়ের্মো আগুস্তোর পায়ে লেগে যায় সিমিথের সামনে। সেটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিজেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে শট নেন সিমিথ। সেটা ঠেকানোর সাধ্য ছিল না ব্রাগান্তিনোর গোলকিপারের। ম্যাচে আর কোনো গোল না হওয়ায় ২-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সান্তোস।

এ নিয়ে সান্তোসের হয়ে ৭ ম্যাচে ৩ গোল আর ৩ অ্যাসিস্ট করলেন নেইমার। এর মধ্যে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন ৪ ম্যাচে।

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০২:০৬:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
৭৭ জন দেখেছেন

এবার ফ্রি-কিকে নেইমারের দারুণ এক গোল

আপডেট : ০২:০৬:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

কর্নার থেকে সরাসরি করা গোলকেই বলা হয় অলিম্পিক গোল। ক্যাম্পেওনাতো পলিস্তায় ইন্তারনাসিওনাল দি লিমেইরার বিপক্ষে সান্তোসের হয়ে নেইমার করেছিলেন অবিশ্বাস্য এক অলিম্পিক গোল। কে থামায় এই নেইমারকে এবার পাওলিস্তার কোয়ার্টার ফাইনালে রেড বুল ব্রাগান্তিনোর বিপক্ষে প্রথম গোলটি এসেছে নেইমারের পা থেকে, সেটাও দারুণ এক ফ্রি কিকে।

আল হিলালে ভুলে যাওয়ার মতো দেড় মৌসুম কাটিয়ে শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফিরে গেছেন নেইমার জুনিয়র। ব্রাজিলের ক্লাবটিতে প্রথম তিন ম্যাচে গোল পাননি, মাঠে আলাদা করে নজর কাড়ার মতো কিছু করতে পারেননি – এ নিয়ে বিস্তর সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। তবে সমালোচনার জবাব দিতে খুব বেশি দেরি করেননি নেইমার।

সোমবার (৩ মার্চ) আবারও গোলের দেখা পেয়েছেন নেইমার। পাওলিস্তার কোয়ার্টার ফাইনালে রেড বুল ব্রাগান্তিনোর বিপক্ষে আজ ২-০ ব্যবধানের জয়ে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে উঠেছে সান্তোস। সান্তোসের প্রথম গোলটি এসেছে নেইমারের পা থেকে, সেটাও দারুণ এক ফ্রি কিকে। নেইমারের দৃষ্টিনন্দন গোলের পর ম্যাচের ৫৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হোয়াও সিমিথ। ওই গোলেও পরোক্ষ অবদান আছে নেইমারের।

পেনাল্টি দিয়ে গোলের খাতা খোলা, এরপর সরাসরি কর্নার থেকে গোল, এখন আবার ফ্রি-কিকে বল জড়ালেন জালে- নেইমার যেন রীতিমতো উড়ছেন। মাঠের এমন ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পুরস্কারও পেয়েছেন নেইমার। প্রায় ১৭ মাস পর জাতীয় দলের প্রাথমিক দলে ডাক পেয়েছেন তিনি!

ম্যাচের শুরুতেই ৮ম মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে ড্রিবল করে বক্সে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন নেইমার। কিন্তু বক্সের ঢোকার ঠিক আগ মুহূর্তে নেইমারকে ফাউল করে বসেন ব্রাগান্তিনো ডিফেন্ডার পেদ্রো এনরিকে। সান্তোস যেখানে ফ্রিকিক পেয়েছে, সেখান থেকে গোল করার কাজটা মোটেও সহজ ছিল না। কিন্তু নেইমারের জন্য সেটা দুর্বোধ্য হতে পারেনি। জোরাল শটে কাছের পোস্ট দিয়ে বল জড়ায় জালে। অবশ্য নেইমারের শট ব্রাগান্তিনোর এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে কিছুটা দিক বদলেছে।

দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের জন্য বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি ক্লাবটিকে। ম্যাচের ৫৬ মিনিটে কর্নার পায় সান্তোস। নেইমারের নেওয়া কর্নারে পাঞ্চ করেছিলেন ব্রাগান্তিনোর গোলকিপার ক্লেইটন শোয়েনবার। ফিরতি বল গুলিয়ের্মো আগুস্তোর পায়ে লেগে যায় সিমিথের সামনে। সেটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিজেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে শট নেন সিমিথ। সেটা ঠেকানোর সাধ্য ছিল না ব্রাগান্তিনোর গোলকিপারের। ম্যাচে আর কোনো গোল না হওয়ায় ২-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সান্তোস।

এ নিয়ে সান্তোসের হয়ে ৭ ম্যাচে ৩ গোল আর ৩ অ্যাসিস্ট করলেন নেইমার। এর মধ্যে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন ৪ ম্যাচে।