মুখ থুবড়ে পড়েছে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা

অযত্মে অবহেলায় মুখ থুবড়ে পড়েছে দেশের সবচেয়ে বড় সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা। কোচ নির্মাণের সক্ষমতা থাকলেও বহু আগে থেকেই এর পরিবর্তে শুধু মেরামত করা হচ্ছে। তাও আবার স্বল্প পরিসরে। অর্থের পাশাপাশি লোকবল সংকটে কারখানাটি। ৭৫ শতাংশ কম লোকবল নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে দেড় শত বছর আগের এই কারখানা।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় ১৯৫২ সালে দুই লক্ষ টাকায় কেনা মেশিনটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে। তারও আগে বৃটিশ আমলে কেনা হয় এই মেশিনটি। অথচ এসব মেশিন কিংবা এর পার্টস মেরামত করে কর্মক্ষম করা যেত কিন্তু এসবের কোন উদ্যোগও নেই বহুদিন ধরে। দক্ষ লোকের অভাবে এমন বহু মেশিন অযত্মে পড়ে আছে সৈয়দপুরের এই রেল কারখানায়।
শুধু তাই নয়, মাত্র কয়েক দশক আগে কেনা সচল মেশিনও পড়ে আছে প্রশিক্ষিত লোকের অভাবে। ৮০০ একর আয়তনের বিশাল এই কারখানাটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
কোচ আর ওয়াগন তৈরির সক্ষমতা থাকলেও কেবল মেরামতের ওপরই নির্ভর কারখানাটি। সেই মেরামতের সক্ষমতাও হারাচ্ছে।
গেল ১৫ বছরে রেলের উন্নয়নে দেড় লক্ষ কোটি টাকা খরচ করা হলেও ট্রেন রক্ষণাবেক্ষণের এই কারখানায় গুরুত্ব দেয়নি সরকার। ফলে শত শত সচল মেশিনও অচল হয়ে পড়ে আছে এখানে। মিশে গেছে মাটির সাথে।
কারখানা সূত্র জানা যায়, গেল ২০ বছরে কেনা হয় ৯০টি মেশিন, এর বাইরে গেল ৫০ বছরে কেনা হয় ২০৭টি ও ৫০ বছর আগে কেনা হয় ৪৮২টি মেশিন। দুই হাজার ৮৫৯ পদের বিপরীত কাজ করছে মাত্র ৭০৭ জন। মাত্র ৩৬ জন দক্ষ লোক ৫৮৩টি মেশিন চালায়। উৎপাদনের বদলে বিদেশ নির্ভর হয়ে পড়েছে দেড় শ বছর আগের কারখানাটি।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার তত্ত্ববধায়ক মোস্তফা জাকির হাসান জানান কারখানাটিতে ২৯টি উপ কারখানায় এক হাজার ২০০ ধরণের যন্ত্রাংশ তৈরি হয়।