০২:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কসবায়  স্ত্রী ও শালিকাকে খুন করে পালিয়ে যাওয়া, সামিউল চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার

কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় গত রোববার গভীর রাতে শশুড় বাড়িতে বেড়াতে এসে স্ত্রী যুথি আক্তার (২২) ও তার ছোট বোন স্মৃতি আক্তার (১২) কে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোদ্ধ করে খুন করে পালিয়ে যাওয়া সেই যুবক সামিউল ইসলাম (৩০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রামের বাকলিয়া এলাকা থেকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার হওয়া সামিউলকে কসবা থানায় নিয়ে আসছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া সামিউল ইসলাম কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার জামতলি গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে। নিহত যুথি আক্তার ও স্মৃতি আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ধজনগর গ্রামের মৃত রওশন আলীর মেয়ে। স্মৃতি আক্তার স্থানীয় লিয়াকত আলী উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।

নিহতের পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, সামিউল ইসলামের সাথে দেড় বছর আগে বিয়ে হয় যুথি আক্তারের। স্বামীর বাড়িতেই থাকতেন যুথি আক্তার। যুথি আক্তারের বাবা রওশন আলী বেচেঁ নেই। তাদের মা একটি মামলার কারনে জেল হাজতে রয়েছেন। বাড়িতে থাকেন যুথি আক্তারের ছোট বোন স্মৃতি আক্তার ছোট ভাই জাহিদ হোসেন। বড় ভাই সৌদি আরবে থাকেন।

গত রোববার যুথি আক্তার তাঁর স্বামী আমির হোসেনকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। রাতের খাবার শেষে যুথি আক্তার ও তার ছোট বোন স্মৃতি আক্তার ঘরের একটি কক্ষে এবং আমির হোসেন ও তার শালা জাহিদ হোসেন একটি কক্ষে ঘুমিয়ে ছিল।

রোববার গভীর রাতে জাহিদ ঘুম থেকে জেগে তার দুলাভাইকে দেখতে পায়নি। ঘরের দরজা খোলা রয়েছে। পাশের কক্ষে তার দুই বোন অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এ সময় জাহিদ চিৎকার করতে থাকলে বাড়ির আশে-পাশের লোকজন দৌড়ে এসে যুথি ও স্মৃতির মরদেহ দেখতে পায়।

কসবা থানা পুলিশ সামিউল ইসলামের মোবাইল নাম্বারে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গতকাল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রাম শহরের বাকুলিয়া এলাকার একটি গোপন আস্তানা থেকে সামিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে কসবা থানায় নিয়ে আসে।

কসবা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার দাশ বলেন, ডাবল মার্ডার মামলার আসামী নিহত যুথি আক্তারের স্বামী সামিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে চট্টগ্রামের বাকলিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। চট্টগ্রাম থেকে কসবা থানায় তাকে নিয়ে আসা হচ্ছে। সেখানে প্রাথমিক  জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হবে।

বাখ//এস

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৫:২০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
৯০ জন দেখেছেন

কসবায়  স্ত্রী ও শালিকাকে খুন করে পালিয়ে যাওয়া, সামিউল চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার

আপডেট : ০৫:২০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় গত রোববার গভীর রাতে শশুড় বাড়িতে বেড়াতে এসে স্ত্রী যুথি আক্তার (২২) ও তার ছোট বোন স্মৃতি আক্তার (১২) কে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোদ্ধ করে খুন করে পালিয়ে যাওয়া সেই যুবক সামিউল ইসলাম (৩০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রামের বাকলিয়া এলাকা থেকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার হওয়া সামিউলকে কসবা থানায় নিয়ে আসছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া সামিউল ইসলাম কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার জামতলি গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে। নিহত যুথি আক্তার ও স্মৃতি আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ধজনগর গ্রামের মৃত রওশন আলীর মেয়ে। স্মৃতি আক্তার স্থানীয় লিয়াকত আলী উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।

নিহতের পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, সামিউল ইসলামের সাথে দেড় বছর আগে বিয়ে হয় যুথি আক্তারের। স্বামীর বাড়িতেই থাকতেন যুথি আক্তার। যুথি আক্তারের বাবা রওশন আলী বেচেঁ নেই। তাদের মা একটি মামলার কারনে জেল হাজতে রয়েছেন। বাড়িতে থাকেন যুথি আক্তারের ছোট বোন স্মৃতি আক্তার ছোট ভাই জাহিদ হোসেন। বড় ভাই সৌদি আরবে থাকেন।

গত রোববার যুথি আক্তার তাঁর স্বামী আমির হোসেনকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। রাতের খাবার শেষে যুথি আক্তার ও তার ছোট বোন স্মৃতি আক্তার ঘরের একটি কক্ষে এবং আমির হোসেন ও তার শালা জাহিদ হোসেন একটি কক্ষে ঘুমিয়ে ছিল।

রোববার গভীর রাতে জাহিদ ঘুম থেকে জেগে তার দুলাভাইকে দেখতে পায়নি। ঘরের দরজা খোলা রয়েছে। পাশের কক্ষে তার দুই বোন অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এ সময় জাহিদ চিৎকার করতে থাকলে বাড়ির আশে-পাশের লোকজন দৌড়ে এসে যুথি ও স্মৃতির মরদেহ দেখতে পায়।

কসবা থানা পুলিশ সামিউল ইসলামের মোবাইল নাম্বারে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গতকাল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রাম শহরের বাকুলিয়া এলাকার একটি গোপন আস্তানা থেকে সামিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে কসবা থানায় নিয়ে আসে।

কসবা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার দাশ বলেন, ডাবল মার্ডার মামলার আসামী নিহত যুথি আক্তারের স্বামী সামিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে চট্টগ্রামের বাকলিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। চট্টগ্রাম থেকে কসবা থানায় তাকে নিয়ে আসা হচ্ছে। সেখানে প্রাথমিক  জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হবে।

বাখ//এস