০২:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সার্টিফিকেট জালিয়াতির বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীর সংবাদ সম্মেলনে

আমিরুল ইসলাম কবির, গাইবান্ধা প্রতিনিধি

সার্টিফিকেট জালিয়াতির বিষয়ে বুধবার ৫ই মার্চ দুপুরে পলাশবাড়ী পল্লী অগ্রগতি সংস্থা’র হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী স্বর্ণা মনি। স্বর্ণা মনি জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানান,গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পাটোয়া মেহেদী বাগ হাইস্কুল থেকে গত ২০২০-৩০২১ ইং সালে আমি (স্বর্ণা) রেজিষ্ট্রেশন ও ফরম পুরণ করি। যার রোল নং-২০৯৯০৯,রেজিষ্ট্রেশন নং-১৯১৭৬৬২১৬৫।

২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় স্বর্ণা মনি জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। পরে এসএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট অনুযায়ী সে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচাশহর শিল্প নগরী কলেজ হতে ২০২২-২০২৩ সালে রেজিষ্ট্রেশন ও ফরম পুরণ করে। যার রোল নং-১৪৫০৪২ এবং রেজিষ্ট্রেশন নং-১৯১৭৬৬২১৬৫। ২০২৪ ইং সালে স্বর্ণা জিপিএ ৪.৩৩ পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। এরপর সে রংপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এবং নার্সিং এর উপর কোচিং করতে থাকে।

পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন ফরম প্রকাশ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে যেয়ে এসএসসি সার্টিফিকেটে স্বর্ণা মনি’র নামের জায়গায় পাটোয়া মেহেদী বাগ হাইস্কুলের শিক্ষার্থী মো. মুসাব্বির হোসেন সিয়াম,পিতাঃ মো. সিরাজুল ইসলামের নাম দেখা যায়।

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর এসএসসি ‘র সার্টিফিকেটে অন্য একজনের নাম হওয়ায় স্বর্ণা মনি আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারেনি। স্বর্ণা তার নিজ স্কুল পাটোয়া মেহেদী বাগ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রশিদ শেখ’কে এ বিষয়ে অবগত করলে এবং বিষয়টি কিভাবে সুরাহা হবে জানতে চাইলে ওই প্রধান শিক্ষক নানা অজুহাত ও সময়ক্ষেপণ সহ হয়রানি করে আসছেন।

পরবর্তীতে ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার বাবাসহ দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এ সরাসরি যোগাযোগ করে জানতে পারেন,পাটোয়া মেহেদী বাগ হাইস্কুলের শিক্ষার্থী গত ২০/১২/২০২২ তারিখে তার রোল নং-২০৯৯০৯ এর উপর সংশোধনের জন্য আবেদন করেছে এবং ১৭/০৪/২০২৩ ইং তারিখে ওই প্রধান শিক্ষকের সিলমোহর ও স্বাক্ষর অনুযায়ী সংশোধনী আবেদনের কার্যক্রম শুরু হয় (যার মিটিং নং-১১৫)।

উল্লেখিত বিষয়াদির কারনে ভুক্তভোগী ছাত্রী স্বর্ণা মনি আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারেনি,ফলে তার আশা ও স্বপ্নগুলো পণ্ডশ্রমে পরিণত হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে সে আরো জানায় যে,পাটোয়া মেহেদী বাগ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় ও নাকাইহাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর সাজাহান এবং শিক্ষার্থী মো. মুসাব্বির হোসেন সিয়াম এর জালিয়াতির কারণে তার (স্বর্ণা মনি)’র স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে। স্বর্ণা তার সার্টিফিকেট জাল জালিয়াতির সাথে জড়িত দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নেক দৃষ্টি সহ বিচার দাবি করেন।

তবে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে এবং তাদের সাক্ষাৎ না মেলায় মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বর্ণা ও তার বাবা মা।

বাখ//আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ১০:১২:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
৯৮ জন দেখেছেন

সার্টিফিকেট জালিয়াতির বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীর সংবাদ সম্মেলনে

আপডেট : ১০:১২:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

সার্টিফিকেট জালিয়াতির বিষয়ে বুধবার ৫ই মার্চ দুপুরে পলাশবাড়ী পল্লী অগ্রগতি সংস্থা’র হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী স্বর্ণা মনি। স্বর্ণা মনি জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানান,গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পাটোয়া মেহেদী বাগ হাইস্কুল থেকে গত ২০২০-৩০২১ ইং সালে আমি (স্বর্ণা) রেজিষ্ট্রেশন ও ফরম পুরণ করি। যার রোল নং-২০৯৯০৯,রেজিষ্ট্রেশন নং-১৯১৭৬৬২১৬৫।

২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় স্বর্ণা মনি জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। পরে এসএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট অনুযায়ী সে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচাশহর শিল্প নগরী কলেজ হতে ২০২২-২০২৩ সালে রেজিষ্ট্রেশন ও ফরম পুরণ করে। যার রোল নং-১৪৫০৪২ এবং রেজিষ্ট্রেশন নং-১৯১৭৬৬২১৬৫। ২০২৪ ইং সালে স্বর্ণা জিপিএ ৪.৩৩ পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। এরপর সে রংপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এবং নার্সিং এর উপর কোচিং করতে থাকে।

পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন ফরম প্রকাশ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে যেয়ে এসএসসি সার্টিফিকেটে স্বর্ণা মনি’র নামের জায়গায় পাটোয়া মেহেদী বাগ হাইস্কুলের শিক্ষার্থী মো. মুসাব্বির হোসেন সিয়াম,পিতাঃ মো. সিরাজুল ইসলামের নাম দেখা যায়।

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর এসএসসি ‘র সার্টিফিকেটে অন্য একজনের নাম হওয়ায় স্বর্ণা মনি আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারেনি। স্বর্ণা তার নিজ স্কুল পাটোয়া মেহেদী বাগ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রশিদ শেখ’কে এ বিষয়ে অবগত করলে এবং বিষয়টি কিভাবে সুরাহা হবে জানতে চাইলে ওই প্রধান শিক্ষক নানা অজুহাত ও সময়ক্ষেপণ সহ হয়রানি করে আসছেন।

পরবর্তীতে ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার বাবাসহ দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এ সরাসরি যোগাযোগ করে জানতে পারেন,পাটোয়া মেহেদী বাগ হাইস্কুলের শিক্ষার্থী গত ২০/১২/২০২২ তারিখে তার রোল নং-২০৯৯০৯ এর উপর সংশোধনের জন্য আবেদন করেছে এবং ১৭/০৪/২০২৩ ইং তারিখে ওই প্রধান শিক্ষকের সিলমোহর ও স্বাক্ষর অনুযায়ী সংশোধনী আবেদনের কার্যক্রম শুরু হয় (যার মিটিং নং-১১৫)।

উল্লেখিত বিষয়াদির কারনে ভুক্তভোগী ছাত্রী স্বর্ণা মনি আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারেনি,ফলে তার আশা ও স্বপ্নগুলো পণ্ডশ্রমে পরিণত হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে সে আরো জানায় যে,পাটোয়া মেহেদী বাগ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় ও নাকাইহাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর সাজাহান এবং শিক্ষার্থী মো. মুসাব্বির হোসেন সিয়াম এর জালিয়াতির কারণে তার (স্বর্ণা মনি)’র স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে। স্বর্ণা তার সার্টিফিকেট জাল জালিয়াতির সাথে জড়িত দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নেক দৃষ্টি সহ বিচার দাবি করেন।

তবে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে এবং তাদের সাক্ষাৎ না মেলায় মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বর্ণা ও তার বাবা মা।

বাখ//আর