০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে বিশেষ আইন হচ্ছে: প্রেস সচিব

অনলাইন ডেস্ক

বিদেশে পাচার হওয়া টাকা দ্রুত ফেরত আনতে খুব শিগগিরই সরকার একটা বিশেষ আইন করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ (সোমবার, ১০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, ‘পাচার করা টাকা কীভাবে আনা যায় সেটা ত্বরান্বিত করতে একটা বিশেষ আইন খুব শিগগিরই করা হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে এই আইন আপনারা দেখবেন। পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে যেসব বিদেশিরা আমাদের সাহায্য করছেন, তারাও এ ধরনের আইনের চাহিদার কথা বলছেন। সেই অনুযায়ী আইনটি করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘পাচার করা টাকা উদ্ধারের জন্য প্রথম থেকেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তৎপর রয়েছে। ড. ইউনূস প্রথম থেকেই বলে আসছেন যে এটা বাংলাদেশের মানুষের টাকা। আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের ভেতরে এটা থাকবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ফোকাস ছিল, পাচার করা টাকা কীভাবে আনা যায়। সেজন্য গত সেপ্টেম্বর মাসে ১১ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর।’

টাকা ফেরত আনার প্রচেষ্টা কতদূর এগিয়েছে, সেটার ওপর আজ একটা বড় সভা হয় বলে জানান শফিকুল আলম। সভায় নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা নিজেই। সেই সভায় অনেকগুলো সিদ্ধান্ত হয়েছে।

প্রেস সচিব বলেন, ‘আইনি সহায়তা পেতে অনেক ল’ ফার্মের সঙ্গে সরকার ও টাস্কফোর্স কথা বলছে। ল’ ফার্মের সঙ্গে অ্যাগ্রিমেন্ট করতে এ আইন সাহায্য করবে। ২০০টা ল’ ফার্মের সঙ্গে আমরা ইতোমধ্যে কথা বলেছি। তবে এখনও সিলেকশন হয়নি। একটা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সিলেকশন হবে। আমরা ৩০টার মতো ল’ ফার্মের সাথে অ্যাগ্রিমেন্টে যাব। সেটা নিয়েও কথাবার্তা হচ্ছে।’

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বরাত দিয়ে প্রেস সচিব বলেন, ‘সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, পাচার হওয়া টাকা দেশের মানুষের টাকা। যত দ্রুত করা যায়, টাকা ফেরত আনতে হবে। ঈদের পর প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে আরও একটি সভা ডেকেছেন। আশা করছি, প্রতিমাসে এর ওপর একটা করে সভা হবে।’

পাচারকৃত টাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একজন বিদেশে তার সন্তানের টিউশন ফি পাঠিয়েছে ৪০০ কোটি টাকা। অথচ বছরে এক কোটি টাকার ওপরে টিউশন ফি লাগার কথা নয়। এখানে দেখা যাচ্ছে টিউশন ফির নামে বিদেশে টাকা পাচার করা হয়েছে।’—বাসস

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৯:৩৬:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
৭০ জন দেখেছেন

পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে বিশেষ আইন হচ্ছে: প্রেস সচিব

আপডেট : ০৯:৩৬:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

বিদেশে পাচার হওয়া টাকা দ্রুত ফেরত আনতে খুব শিগগিরই সরকার একটা বিশেষ আইন করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ (সোমবার, ১০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, ‘পাচার করা টাকা কীভাবে আনা যায় সেটা ত্বরান্বিত করতে একটা বিশেষ আইন খুব শিগগিরই করা হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে এই আইন আপনারা দেখবেন। পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে যেসব বিদেশিরা আমাদের সাহায্য করছেন, তারাও এ ধরনের আইনের চাহিদার কথা বলছেন। সেই অনুযায়ী আইনটি করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘পাচার করা টাকা উদ্ধারের জন্য প্রথম থেকেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তৎপর রয়েছে। ড. ইউনূস প্রথম থেকেই বলে আসছেন যে এটা বাংলাদেশের মানুষের টাকা। আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের ভেতরে এটা থাকবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ফোকাস ছিল, পাচার করা টাকা কীভাবে আনা যায়। সেজন্য গত সেপ্টেম্বর মাসে ১১ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর।’

টাকা ফেরত আনার প্রচেষ্টা কতদূর এগিয়েছে, সেটার ওপর আজ একটা বড় সভা হয় বলে জানান শফিকুল আলম। সভায় নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা নিজেই। সেই সভায় অনেকগুলো সিদ্ধান্ত হয়েছে।

প্রেস সচিব বলেন, ‘আইনি সহায়তা পেতে অনেক ল’ ফার্মের সঙ্গে সরকার ও টাস্কফোর্স কথা বলছে। ল’ ফার্মের সঙ্গে অ্যাগ্রিমেন্ট করতে এ আইন সাহায্য করবে। ২০০টা ল’ ফার্মের সঙ্গে আমরা ইতোমধ্যে কথা বলেছি। তবে এখনও সিলেকশন হয়নি। একটা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সিলেকশন হবে। আমরা ৩০টার মতো ল’ ফার্মের সাথে অ্যাগ্রিমেন্টে যাব। সেটা নিয়েও কথাবার্তা হচ্ছে।’

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বরাত দিয়ে প্রেস সচিব বলেন, ‘সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, পাচার হওয়া টাকা দেশের মানুষের টাকা। যত দ্রুত করা যায়, টাকা ফেরত আনতে হবে। ঈদের পর প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে আরও একটি সভা ডেকেছেন। আশা করছি, প্রতিমাসে এর ওপর একটা করে সভা হবে।’

পাচারকৃত টাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একজন বিদেশে তার সন্তানের টিউশন ফি পাঠিয়েছে ৪০০ কোটি টাকা। অথচ বছরে এক কোটি টাকার ওপরে টিউশন ফি লাগার কথা নয়। এখানে দেখা যাচ্ছে টিউশন ফির নামে বিদেশে টাকা পাচার করা হয়েছে।’—বাসস