গত ১০ বছরে যা করেছেন, তা ছাপিয়ে গেছে আগের ১৫ বছরকেও

ফুটবলে ৩০ বছর বয়সটা যেন অলিখিত মাপকাঠি! প্রচলিত আছে, ৩০ বছরের আগে একজন ফুটবলার যতটা ক্ষিপ্র আর দ্রুত থাকেন, ৩০ পেরোলেই সেই ধার কমতে থাকে। আর মধ্য ত্রিশের ঘরে গিয়ে ভাবতে থাকেন অবসরের কথা। আর যদি সেই ফুটবলার হন স্ট্রাইকার পজিশনের কেউ, তাহলে তো কথাই নেই। আরও আগেই বুটজোড়া তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেন কেউ কেউ!
তবে ফুটবলারের নাম যখন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, তখন কি আর এসব জাগতিক নিয়ম চলে! শুধু কাগজে-কলমের কথা নয়, বাস্তবেও সেটার প্রমাণ দিয়েছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার।
গতকাল এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে আল এস্তেগলালের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে জয়ে টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে রোনালদোর আল নাসর। সৌদি ক্লাবটির হয়ে পেনাল্টি থেকে একটি গোল করেছেন রোনালদো। আর এ গোলেই ৩০ বছর আগের অধ্যায়কে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাড়িয়ে গেছেন পর্তুগিজ মহাতারকা!
বিষয়টা ব্যাখ্যা করা যাক। ৩০ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে, অর্থাৎ ২০০২ সালে শুরু ক্যারিয়ারে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ১৩ বছরে জাতীয় দল আর ক্লাব মিলিয়ে ৪৬৩ গোল করেছিলেন রোনালদো। গতকালের আগ পর্যন্ত ৩০ পেরোনোর পর ১০ বছরে রোনালদের গোল সংখ্যা ছিল সমান ৪৬৩টি। এস্তেগলালের বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে গোল করেই সে সংখ্যাটা ৪৬৪টিতে নিয়ে গেলেন রোনালদো। অর্থাৎ ৩০ আগে ‘তরুণ’ রোনালদোর চেয়ে ৩০ পেরোনো ‘বুড়ো’ রোনালদোর গোলই এখন বেশি।
শুধু গোলে নয়, অন্যান্য অর্জনেও ‘তরুণ’ রোনালদোকে ছাড়িয়ে গেছেন ৩০ পেরোনো রোনালদো। ৫ চ্যাম্পিয়নস লিগের ৩টিই জিতেছেন ৩০তম জন্মদিনের কেক কাটার পর। ৬ লিগ শিরোপার অর্ধেক এসেছে ‘বুড়ো’অধ্যায়ে। ৫ বালন দ’রের দুটি জিতেছেন ৩০ পেরিয়ে যাওয়ার পর। এমনকি জাতীয় দলের হয়ে যখন ২০১৬ সালে ইউরো জিতলেন, তখন পর্তুগিজ সুপারস্টারের বয়স ছিল ৩১ বছর।
গতকালের গোলে এ নিয়ে ক্যারিয়ারে ৯২৭ গোল হয়ে গেল রোনালদোর। এক হাজার গোলকে পাখির চোখ করা ৪০ বছর বয়সী এ মহাতারকা আল নাসরে যোগ দেওয়ার পর ১০২ ম্যাচে ৯১ বার জালে বল জড়ালেন।