মাগুরার শিশু ধর্ষণ মামলার তিন পুরুষ আসামির ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ

মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে অভিযুক্ত চার আসামির মধ্যে তিন পুরুষ আসামীর ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তাদের ঢাকায় সিআইডির ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরিতে নিয়ে যাওয়া হয়। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী শিশুর ডিএনএ নমুনাও জমা দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিরাজুল ইসলাম সন্ধ্যায় বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী শিশুকে যখন মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তখনই তাঁর ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। আসামিদের মধ্যে একজন নারী। তিনি ছাড়া বাকি যে তিনজন পুরুষ আসামি রয়েছেন তাঁদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য ঢাকা সিআইডি ডিএনএ ল্যাবে পাঠানো হয়। তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন তাঁরা মাগুরা জেলা কারাগারে রয়েছেন।
উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার মাগুরা শহরতলীর একটি এলাকায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের ওই শিশু। শনিবার মাগুরা সদর থানায় শিশুটির মা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও আহত করার অভিযোগে মামলা করেন। ওই মামলায় শিশুটির ভগ্নীপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়।
ঘটনার পর থেকে সকল আসামি পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। শনিবার ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়। নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকায় রোববার দিবাগত গভীর রাতে আসামিদের রিমান্ড শুনানি হয়। সেখানে মূল অভিযুক্ত ভুক্তভোগী শিশুর বোনের শ্বশুরকে সাত দিন; স্বামী, শাশুড়ি ও ভাশুর প্রত্যেককে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিআইসিইউ থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। শিশুটিকে এখনও লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
বাখ//আর