০১:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানের যাত্রীবাহী ট্রেন হাইজ্যাক-জিম্মি ঘটনার অবসান

অনলাইন ডেস্ক

অবশেষে যাত্রীবাহী ট্রেন হাইজ্যাক ও জিম্মি ঘটনার অবসান করলো পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। জটিল অভিযানের মাধ্যমে বিচ্ছিন্নতাবাদী সকল সন্ত্রাসীকে হত্যার পাশাপাশি ৩শ’র বেশি জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তান আইএসপিআর।

পাকিস্তান সেনার মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমদ শরিফ পাকিস্তানি টিভি চ্যানেল দুনিয়া নিউজকে জানিয়েছেন, পাক সেনা সব ৩৩ বালুচ বিদ্রোহীদের খতম করেছে।

পাশাপাশি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে পাক সেনার এক আধিকারিক বলেছেন,”৩৪৬ জন পণবন্দিকে মুক্ত করা হয়েছে। পাক বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ৩০ জন সন্ত্রাসবাদী”।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমদ শরিফ অবশ্য় দাবি করেছেন, এই ঘটনায় ২১ জন যাত্রী এবং আধাসামরিক বাহিনীর ৪ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। প্রসঙ্গত, নয় কামরার জাফর এক্সপ্রেসে প্রায় ৪০০ জন যাত্রী ছিলেন এবং ট্রেনটি কোয়েটা থেকে পেশোয়ার যাচ্ছিল। এই সময় সন্ত্রাসীরা কোয়েটা থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে গুডালার এবং পিরু কুড়ির পাহাড়ি এলাকায় একটি সুড়ঙ্গের কাছে বিস্ফোরক ব্যবহার করে ট্রেনটিকে লাইনচ্যুত করে এবং অপহরণ করে।

পাক সেনা আধিকারিকের দাবি, সেনা, বিমানবাহিনী, ফ্রন্টিয়ার কোর এবং এসএসজি জওয়ানরা অভিযান চালিয়ে সব বন্দীদের মুক্ত করেছে। সেই সঙ্গে বালোচ যোদ্ধাদের সঙ্গে আফগানিস্তান যোগের দাবিও করেছেন জেনারেল শরিফ। তাঁর দাবি, সন্ত্রাসীরা অপারেশনের সময় স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে আফগানিস্তানে তাদের সমর্থক এবং মাস্টারমাইন্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল।

এদিকে, দৃঢ়তার সঙ্গে অভিযান পরিচালনা করায় নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি। অন্যদিকে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারানো পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ।

গত মঙ্গলবার (১১ মার্চ) কোয়েটা থেকে পেশাওয়ার যাবার পথে বেলুচিস্তানের বোলান জেলায় ৪৪০ যাত্রীসহ ছিনতাই হয় জাফর এক্সপ্রেস। এর দায় শিকার করে প্রদেশটির সকল রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তির ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন বিএলএ। তবে আল্টিমেটাম শেষ হবার আগেই অভিযান সমাপ্ত করলো পাক সেনাবাহিনী।

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ১১:২৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
৬৬ জন দেখেছেন

পাকিস্তানের যাত্রীবাহী ট্রেন হাইজ্যাক-জিম্মি ঘটনার অবসান

আপডেট : ১১:২৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

অবশেষে যাত্রীবাহী ট্রেন হাইজ্যাক ও জিম্মি ঘটনার অবসান করলো পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। জটিল অভিযানের মাধ্যমে বিচ্ছিন্নতাবাদী সকল সন্ত্রাসীকে হত্যার পাশাপাশি ৩শ’র বেশি জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তান আইএসপিআর।

পাকিস্তান সেনার মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমদ শরিফ পাকিস্তানি টিভি চ্যানেল দুনিয়া নিউজকে জানিয়েছেন, পাক সেনা সব ৩৩ বালুচ বিদ্রোহীদের খতম করেছে।

পাশাপাশি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে পাক সেনার এক আধিকারিক বলেছেন,”৩৪৬ জন পণবন্দিকে মুক্ত করা হয়েছে। পাক বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ৩০ জন সন্ত্রাসবাদী”।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমদ শরিফ অবশ্য় দাবি করেছেন, এই ঘটনায় ২১ জন যাত্রী এবং আধাসামরিক বাহিনীর ৪ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। প্রসঙ্গত, নয় কামরার জাফর এক্সপ্রেসে প্রায় ৪০০ জন যাত্রী ছিলেন এবং ট্রেনটি কোয়েটা থেকে পেশোয়ার যাচ্ছিল। এই সময় সন্ত্রাসীরা কোয়েটা থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে গুডালার এবং পিরু কুড়ির পাহাড়ি এলাকায় একটি সুড়ঙ্গের কাছে বিস্ফোরক ব্যবহার করে ট্রেনটিকে লাইনচ্যুত করে এবং অপহরণ করে।

পাক সেনা আধিকারিকের দাবি, সেনা, বিমানবাহিনী, ফ্রন্টিয়ার কোর এবং এসএসজি জওয়ানরা অভিযান চালিয়ে সব বন্দীদের মুক্ত করেছে। সেই সঙ্গে বালোচ যোদ্ধাদের সঙ্গে আফগানিস্তান যোগের দাবিও করেছেন জেনারেল শরিফ। তাঁর দাবি, সন্ত্রাসীরা অপারেশনের সময় স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে আফগানিস্তানে তাদের সমর্থক এবং মাস্টারমাইন্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল।

এদিকে, দৃঢ়তার সঙ্গে অভিযান পরিচালনা করায় নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি। অন্যদিকে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারানো পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ।

গত মঙ্গলবার (১১ মার্চ) কোয়েটা থেকে পেশাওয়ার যাবার পথে বেলুচিস্তানের বোলান জেলায় ৪৪০ যাত্রীসহ ছিনতাই হয় জাফর এক্সপ্রেস। এর দায় শিকার করে প্রদেশটির সকল রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তির ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন বিএলএ। তবে আল্টিমেটাম শেষ হবার আগেই অভিযান সমাপ্ত করলো পাক সেনাবাহিনী।