০৫:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজীপুরে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি না করতে বিক্রেতাকে সতর্ক করলো ভ্রাম্যমাণ আদালত

কাজী মকবুল, গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে মাংস বিক্রেতা শফিকুল ইসলামকে ডেকে এনে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি না করতে সতর্ক করে দেয়। মঙ্গলবার (১৮মার্চ) দুপুরে মহানগরীর হায়দরাবাদ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জালাল উদ্দিন অভিযান পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জালাল উদ্দিন জানান, দেশে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি অপ্রচলিত। তাই বিভিন্ন মহল থেকে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রিতে আপত্তি উঠায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় মাংস বিক্রেতা শফিকুল ইসলামকে ডেকে এনে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়। অন্যথায় বুধবার (১৯ মার্চ) থেকে ২০১১ সালের পশু জবাই আইনে গ্রেফতার ও জেল জরিমানার কথা জানিয়ে তাকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থিত গাজীপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহীন মিয়া জানান, ২০১১ সালের পশু জবাই ও মান নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ব্যতীত এবং লাইসেন্স ছাড়া পশু জবাই ও মাংস বিক্রি দন্ডনীয় অপরাধ। এক্ষেত্রে এক বছরের জেল জরিমানার বিধান রয়েছে।

অভিযানকালে স্থানীয়রা ভ্রাম্যমাণ আদালতকে আশ্বস্ত করেন এ এলাকায় আর ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। তারা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে মহানগরীর হায়দরাবাদ এলাকায় দুবাই ফেরত আ ন ম নুরুল্লাহ মামুন, তার বন্ধু শফিকুল ইসলামকে নিয়ে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি প্রচলন শুরু করেন।

ঘোড়ার মাংসের চাহিদা দিন দিন বাড়তে থাকায় আড়াইশ টাকা কেজির মাংস তিন থেকে সাড়ে তিনশ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছিল। ঘোড়ার মাংস বিক্রির বিষয়টি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রচারিত হলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনা হলে মঙ্গলবার ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি না করতে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িকে সতর্ক করে দেয়।
বাখ//আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ১২:৪১:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
৭২ জন দেখেছেন

গাজীপুরে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি না করতে বিক্রেতাকে সতর্ক করলো ভ্রাম্যমাণ আদালত

আপডেট : ১২:৪১:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
গাজীপুরে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে মাংস বিক্রেতা শফিকুল ইসলামকে ডেকে এনে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি না করতে সতর্ক করে দেয়। মঙ্গলবার (১৮মার্চ) দুপুরে মহানগরীর হায়দরাবাদ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জালাল উদ্দিন অভিযান পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জালাল উদ্দিন জানান, দেশে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি অপ্রচলিত। তাই বিভিন্ন মহল থেকে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রিতে আপত্তি উঠায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় মাংস বিক্রেতা শফিকুল ইসলামকে ডেকে এনে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়। অন্যথায় বুধবার (১৯ মার্চ) থেকে ২০১১ সালের পশু জবাই আইনে গ্রেফতার ও জেল জরিমানার কথা জানিয়ে তাকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থিত গাজীপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহীন মিয়া জানান, ২০১১ সালের পশু জবাই ও মান নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ব্যতীত এবং লাইসেন্স ছাড়া পশু জবাই ও মাংস বিক্রি দন্ডনীয় অপরাধ। এক্ষেত্রে এক বছরের জেল জরিমানার বিধান রয়েছে।

অভিযানকালে স্থানীয়রা ভ্রাম্যমাণ আদালতকে আশ্বস্ত করেন এ এলাকায় আর ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। তারা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে মহানগরীর হায়দরাবাদ এলাকায় দুবাই ফেরত আ ন ম নুরুল্লাহ মামুন, তার বন্ধু শফিকুল ইসলামকে নিয়ে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি প্রচলন শুরু করেন।

ঘোড়ার মাংসের চাহিদা দিন দিন বাড়তে থাকায় আড়াইশ টাকা কেজির মাংস তিন থেকে সাড়ে তিনশ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছিল। ঘোড়ার মাংস বিক্রির বিষয়টি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রচারিত হলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনা হলে মঙ্গলবার ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি না করতে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িকে সতর্ক করে দেয়।
বাখ//আর