০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পৃথিবীর মাটি ছুঁয়েই উচ্ছ্বাসে ভাসলেন সুনিতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

৯ মাস পর পৃথিবীতে ফিরলেন সুনিতা উইলিয়ামস। সফল অবতরণে বিশ্বজুড়ে খুশির হাওয়া। ভোর ৩.২৭ মিনিটের আশেপাশে ফ্লোরিডার সমুদ্র উপকূলে ‘স্প্ল্যাশ ডাউন’।

প্রায় ৯ মাস মহাকাশে আটকে থাকার পর, আজ অবশেষে পৃথিবীর মাটি ছুঁলেন সুনিতা উইলিয়ামস। তার সঙ্গে আরও তিনজন মহাকাশচারীও সফলভাবে পৃথিবীতে অবতরণ করেন।

মার্কিন মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামস ২৮৬ দিন পর পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন। মহাকাশ সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীদের মতে, সুনিতা এবং ব্যারি উইলমোরকে নিয়ে ফিরে আসা মহাকাশযানটি ভোর ৩.২৭ মিনিটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার সমুদ্রে অবতরণ করে। সফল ‘স্প্ল্যাশডাউনের’ একে একে মহাকাশযান থেকে বের করে আনা হয় নিক হেগ, বুচ উইলমোর, সুনিতা উইলিয়ামস এবং রসকসমস-কে। পৃথিবীতে অবতরণের সঙ্গে সঙ্গেই সুনিতা উইলিয়ামস হাত নেড়ে সেখানে হাজির সকলকে অভ্যর্থনা জানান।

বুচ উইলমোর এবং সুনিতা উইলিয়ামস ৯ মাস ধরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) আটকে ছিলেন, যেখানে তারা বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মিশনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং বৈজ্ঞানিক কাজ চালিয়েছিলেন। তাদের মিশন দীর্ঘ এবং চ্যালেঞ্জিং ছিল, কিন্তু তারা এখন নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, মহাকাশ থেকে পৃথিবী পর্যন্ত সুনিতাদের এই ফিরে আসা নিরাপদে হয়েছে বলে জানিয়েছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের একটি ক্যাপসুলে করে তাদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হয়। সুনিতা ও বুচের সঙ্গে একই ক্যাপসুলে ফিরেছেন নাসার মহাকাশচারী নিক হগ ও আলেকজান্ডার গর্বুনভ।

চারটি বিশেষ প্যারাসুটের সাহায্যে ফ্লোরিডা উপকূলে নামে মহাকাশচারীদের বহনকারী ক্যাপসুলটি। ইলন মাস্ক তার এক্স অ্যাকাউন্টে ক্যাপসুলটির অবতরণের দৃশ্য শেয়ার করেছেন।

এক্সে শেয়ার করা পোস্টে দেখা যায়, ফ্লোরিডা উপকূলে নেমে আসার পর কিছুক্ষণ সমুদ্রে ভাসছিল তাদের বহনকারী ‘ক্রু ড্রাগন’ ক্যাপসুল। এরপর মার্কিন নৌবাহিনীর একটি উদ্ধারকারী জাহাজ এই নভোচারীদের ক্যাপসুল থেকে বের করে নিয়ে আসে। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সঙ্গে যেন তারা খাপ খাইয়ে নিতে পারেন, সেজন্য প্রায় এক ঘণ্টা সময় নেয় নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দল।

ফ্লোরিডার উপকূল থেকে মহাকাশচারীদের নিয়ে টেক্সাসের হিউস্টন শহরে জনসন স্পেস সেন্টারের যান উদ্ধারকারীরা। পৃথিবীতে ফিরে এলেও এখনই নিজেদের বাড়িতে যেতে পারবেন না তাঁরা। কয়েক সপ্তাহ তাদের পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে।

গত বছর জুনে মার্কিন উড়োজাহাজ কোম্পানি বোয়িংয়ের তৈরি মহাকাশযান স্টারলাইনারে চেপে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন সুনিতা ও বুচ। মহাকাশযানটিতে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় সেখানে আটকা পড়েন তাঁরা।

আটকা পড়া দুই নভোচারীকে ফিরিয়ে আনতে গত বছর থেকে নানা পরিকল্পনা করতে শুরু করে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। গত জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি দুই মহাকাশচারীকে ফিরিয়ে আনার ওপর জোর দেন। অবশেষে ২৮৬ দিন পর নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরতে পেরেছেন সুনিতা ও বুচ।

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ১২:০৭:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
১০৪ জন দেখেছেন

পৃথিবীর মাটি ছুঁয়েই উচ্ছ্বাসে ভাসলেন সুনিতা

আপডেট : ১২:০৭:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

৯ মাস পর পৃথিবীতে ফিরলেন সুনিতা উইলিয়ামস। সফল অবতরণে বিশ্বজুড়ে খুশির হাওয়া। ভোর ৩.২৭ মিনিটের আশেপাশে ফ্লোরিডার সমুদ্র উপকূলে ‘স্প্ল্যাশ ডাউন’।

প্রায় ৯ মাস মহাকাশে আটকে থাকার পর, আজ অবশেষে পৃথিবীর মাটি ছুঁলেন সুনিতা উইলিয়ামস। তার সঙ্গে আরও তিনজন মহাকাশচারীও সফলভাবে পৃথিবীতে অবতরণ করেন।

মার্কিন মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামস ২৮৬ দিন পর পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন। মহাকাশ সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীদের মতে, সুনিতা এবং ব্যারি উইলমোরকে নিয়ে ফিরে আসা মহাকাশযানটি ভোর ৩.২৭ মিনিটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার সমুদ্রে অবতরণ করে। সফল ‘স্প্ল্যাশডাউনের’ একে একে মহাকাশযান থেকে বের করে আনা হয় নিক হেগ, বুচ উইলমোর, সুনিতা উইলিয়ামস এবং রসকসমস-কে। পৃথিবীতে অবতরণের সঙ্গে সঙ্গেই সুনিতা উইলিয়ামস হাত নেড়ে সেখানে হাজির সকলকে অভ্যর্থনা জানান।

বুচ উইলমোর এবং সুনিতা উইলিয়ামস ৯ মাস ধরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) আটকে ছিলেন, যেখানে তারা বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মিশনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং বৈজ্ঞানিক কাজ চালিয়েছিলেন। তাদের মিশন দীর্ঘ এবং চ্যালেঞ্জিং ছিল, কিন্তু তারা এখন নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, মহাকাশ থেকে পৃথিবী পর্যন্ত সুনিতাদের এই ফিরে আসা নিরাপদে হয়েছে বলে জানিয়েছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের একটি ক্যাপসুলে করে তাদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হয়। সুনিতা ও বুচের সঙ্গে একই ক্যাপসুলে ফিরেছেন নাসার মহাকাশচারী নিক হগ ও আলেকজান্ডার গর্বুনভ।

চারটি বিশেষ প্যারাসুটের সাহায্যে ফ্লোরিডা উপকূলে নামে মহাকাশচারীদের বহনকারী ক্যাপসুলটি। ইলন মাস্ক তার এক্স অ্যাকাউন্টে ক্যাপসুলটির অবতরণের দৃশ্য শেয়ার করেছেন।

এক্সে শেয়ার করা পোস্টে দেখা যায়, ফ্লোরিডা উপকূলে নেমে আসার পর কিছুক্ষণ সমুদ্রে ভাসছিল তাদের বহনকারী ‘ক্রু ড্রাগন’ ক্যাপসুল। এরপর মার্কিন নৌবাহিনীর একটি উদ্ধারকারী জাহাজ এই নভোচারীদের ক্যাপসুল থেকে বের করে নিয়ে আসে। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সঙ্গে যেন তারা খাপ খাইয়ে নিতে পারেন, সেজন্য প্রায় এক ঘণ্টা সময় নেয় নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দল।

ফ্লোরিডার উপকূল থেকে মহাকাশচারীদের নিয়ে টেক্সাসের হিউস্টন শহরে জনসন স্পেস সেন্টারের যান উদ্ধারকারীরা। পৃথিবীতে ফিরে এলেও এখনই নিজেদের বাড়িতে যেতে পারবেন না তাঁরা। কয়েক সপ্তাহ তাদের পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে।

গত বছর জুনে মার্কিন উড়োজাহাজ কোম্পানি বোয়িংয়ের তৈরি মহাকাশযান স্টারলাইনারে চেপে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন সুনিতা ও বুচ। মহাকাশযানটিতে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় সেখানে আটকা পড়েন তাঁরা।

আটকা পড়া দুই নভোচারীকে ফিরিয়ে আনতে গত বছর থেকে নানা পরিকল্পনা করতে শুরু করে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। গত জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি দুই মহাকাশচারীকে ফিরিয়ে আনার ওপর জোর দেন। অবশেষে ২৮৬ দিন পর নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরতে পেরেছেন সুনিতা ও বুচ।