০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীর গোদাগাড়ী ইউএনও বাজার মনিটারিং করায় কোন সিন্ডিকেট তৈরী হচ্ছে না

মোঃ হায়দার আলী, নিজস্ব প্রতিবেদক রাজশাহী
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে  ইউএনও বাজার মনিটারিং করায় নিত্য পুন্যের  দাম কমেছে। তবে গুরুর মাংশের দাম ক্রেতা সাধারণের নাগালের বাইরে রয়েছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগনকে সরকারের বিপক্ষে দাঁড় করানোর জন্য কোন সিন্ডকেট সুবিধানকরতে পারছেনা। গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার  ফয়সাল আহমেদের বাজার মনিটারিং এর বিষয়টি গোদাগাড়ী টক অফ দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে।
ক্রেতা সাধারন বলছেন, ভোক্তা অধিকারের লোকজন  লোকজন দেখা না গেলেও  প্রায় প্রতিদিন কোন না হাট বাজার,  মুদির দোকান ,  ফার্মেসী,  ক্লিনিকে ইউএনও অভিযান করছেন।   মাদক ব্যবসায়ী, মাদক সেবীদের বিরুদ্ধে অভিযানও থেমে  নেই।   রাজাবাড়ীহাট, মহিশালবাড়ীবাজার, রেলওয়ে বাজার,  হাটপাড়া, গোদাগাড়ী, বিদিরপুর, কাঁকনহাট,  কামারপাড়া বাজারে  গিয়ে  ক্রেতা সাধারণ ও ব্যবসায়ীদের  সাথে কথা বলছেন।   কোনভাবে যেন খেয়াল খুশিমত  দামবৃদ্ধি না করে সে দিকে  কঠোর দৃষ্টি রাখছেন।
বুধবার সকালে মহিশালবাড়ী বাজার, রেলওয়ে বাজার, রেলগেট, গোদাগাড়ীসহ বিভিন্ন স্থানে  দেশী  পেঁয়াজর বিক্রি হয়েছে ২০/৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ।  আলু কেজি ১৮/২০ টাকা, খিরা ২০/৩০ টাকা, বেগুন ২৫/৩০ টাকা, নতুন ভিন্ডি ১২০ টাকা,  পটল ১০০ টাকা কেজি, করলা ৫০ টাকা,  বেগুন ২৫/৩০ টাকা, মসুরের ডাল ১০০/১৩০  টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে দেখা যায়, গরিবের মাছ পাঙাস (বড় সাইজের) বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। ছোট আকারের পাঙাস বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। তাছাড়া ইলিশ মাছ কেজিপ্রতি ১২০০ থেকে ২০০০ টাকা, ছোটগুলি ৫৫০/ ৬০০ রুই মাছ সাইজভেদে  ৪৫০/৯০০ টাকা, কই মাছ ৯৫০ টাকা, ট্যাংরা মাছ ৭০০ টাকা, শিং মাছ ৬৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২৬০ টাকা, চিংড়ি মাছ জাত ভেদে ১০০০  থেকে ১৭০০  টাকা, বাশপাতা ১৬০০/২০০০ টাকা কেজি  বিক্রি হচ্ছে।
 গরুর মাংশ  আগের মতোই ৭৫০/ ৭৮০  টাকা কেজি   ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৭০ টাকায় ,  সোনালী মুরগি ২৬০ টাকা আর দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে  খাসির মাংস প্রতি কেজি ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কথা হয় বাজারে আসা ক্রেতা মোয়েজ এর সাথে  সাথে। তিনি বলেন, আগে বাজারে  পুন্যের মূল্য লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পেত এবার সেব্যবস্থা নেই। ইউএনও সাহেবের বাজার মনিটারিং কারর সুফল পাচ্ছেন কেত্রাসাধারণ।  রাজশাহীতে গরুর মাংশের কেজি যেখানে ৬৫০ টাকা সেখানে গোদাগাড়ী, মহিশালবাড়ী, রেলওয়ে বাজারে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা কেজি দেদাসে বিক্রি হচ্ছে মাংশের ব্যপারে হস্তক্ষেপ জরুরী বলে তিনি জানান। একই মন্তব্য করেন নাসিম আহম্মেদ।
 ক্রেতা ইব্রাহীম মাষ্টার বলেন, সব কিছুর দাম  কম আছে তবে গরুর মাংশ, চরের পটল, নতুন ভিন্ডি, সাজনের (চুট্টি) দাম খুববেশী।
গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,  প্রায় প্রতিদিনই বাজার মনিটারিং করছি ব্যবসায়ী ও ক্রেতা সাধারণের সাথে কথা বলছি কেউ যেন সিন্ডিকেট করে পুন্যের দাম বাড়াতে না পারে সেদিকে বিশেষভাবে নজর দেয়া হচ্ছে।  তবে গরুর  মাংশ, নতুন পটল, ভিন্ডি, সাজনের  দামটা একটু বেশী এখানেও আমরা কাজ করবো।  রোজায় মানুষ যেন শান্তিতে সাহরী ইফতারী করতে পারে, কোন সিন্ডিকেট করে দাম বৃদ্ধি করতে না পারে সেদিকে নজর দেয়া হচ্ছে। এ অভিযান আগামীতে অব্যাহত থাকবে ইনসাল্লাহ।
বাখ//আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৩:৩৮:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
৭৭ জন দেখেছেন

রাজশাহীর গোদাগাড়ী ইউএনও বাজার মনিটারিং করায় কোন সিন্ডিকেট তৈরী হচ্ছে না

আপডেট : ০৩:৩৮:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে  ইউএনও বাজার মনিটারিং করায় নিত্য পুন্যের  দাম কমেছে। তবে গুরুর মাংশের দাম ক্রেতা সাধারণের নাগালের বাইরে রয়েছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগনকে সরকারের বিপক্ষে দাঁড় করানোর জন্য কোন সিন্ডকেট সুবিধানকরতে পারছেনা। গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার  ফয়সাল আহমেদের বাজার মনিটারিং এর বিষয়টি গোদাগাড়ী টক অফ দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে।
ক্রেতা সাধারন বলছেন, ভোক্তা অধিকারের লোকজন  লোকজন দেখা না গেলেও  প্রায় প্রতিদিন কোন না হাট বাজার,  মুদির দোকান ,  ফার্মেসী,  ক্লিনিকে ইউএনও অভিযান করছেন।   মাদক ব্যবসায়ী, মাদক সেবীদের বিরুদ্ধে অভিযানও থেমে  নেই।   রাজাবাড়ীহাট, মহিশালবাড়ীবাজার, রেলওয়ে বাজার,  হাটপাড়া, গোদাগাড়ী, বিদিরপুর, কাঁকনহাট,  কামারপাড়া বাজারে  গিয়ে  ক্রেতা সাধারণ ও ব্যবসায়ীদের  সাথে কথা বলছেন।   কোনভাবে যেন খেয়াল খুশিমত  দামবৃদ্ধি না করে সে দিকে  কঠোর দৃষ্টি রাখছেন।
বুধবার সকালে মহিশালবাড়ী বাজার, রেলওয়ে বাজার, রেলগেট, গোদাগাড়ীসহ বিভিন্ন স্থানে  দেশী  পেঁয়াজর বিক্রি হয়েছে ২০/৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ।  আলু কেজি ১৮/২০ টাকা, খিরা ২০/৩০ টাকা, বেগুন ২৫/৩০ টাকা, নতুন ভিন্ডি ১২০ টাকা,  পটল ১০০ টাকা কেজি, করলা ৫০ টাকা,  বেগুন ২৫/৩০ টাকা, মসুরের ডাল ১০০/১৩০  টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে দেখা যায়, গরিবের মাছ পাঙাস (বড় সাইজের) বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। ছোট আকারের পাঙাস বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। তাছাড়া ইলিশ মাছ কেজিপ্রতি ১২০০ থেকে ২০০০ টাকা, ছোটগুলি ৫৫০/ ৬০০ রুই মাছ সাইজভেদে  ৪৫০/৯০০ টাকা, কই মাছ ৯৫০ টাকা, ট্যাংরা মাছ ৭০০ টাকা, শিং মাছ ৬৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২৬০ টাকা, চিংড়ি মাছ জাত ভেদে ১০০০  থেকে ১৭০০  টাকা, বাশপাতা ১৬০০/২০০০ টাকা কেজি  বিক্রি হচ্ছে।
 গরুর মাংশ  আগের মতোই ৭৫০/ ৭৮০  টাকা কেজি   ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৭০ টাকায় ,  সোনালী মুরগি ২৬০ টাকা আর দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে  খাসির মাংস প্রতি কেজি ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কথা হয় বাজারে আসা ক্রেতা মোয়েজ এর সাথে  সাথে। তিনি বলেন, আগে বাজারে  পুন্যের মূল্য লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পেত এবার সেব্যবস্থা নেই। ইউএনও সাহেবের বাজার মনিটারিং কারর সুফল পাচ্ছেন কেত্রাসাধারণ।  রাজশাহীতে গরুর মাংশের কেজি যেখানে ৬৫০ টাকা সেখানে গোদাগাড়ী, মহিশালবাড়ী, রেলওয়ে বাজারে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা কেজি দেদাসে বিক্রি হচ্ছে মাংশের ব্যপারে হস্তক্ষেপ জরুরী বলে তিনি জানান। একই মন্তব্য করেন নাসিম আহম্মেদ।
 ক্রেতা ইব্রাহীম মাষ্টার বলেন, সব কিছুর দাম  কম আছে তবে গরুর মাংশ, চরের পটল, নতুন ভিন্ডি, সাজনের (চুট্টি) দাম খুববেশী।
গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,  প্রায় প্রতিদিনই বাজার মনিটারিং করছি ব্যবসায়ী ও ক্রেতা সাধারণের সাথে কথা বলছি কেউ যেন সিন্ডিকেট করে পুন্যের দাম বাড়াতে না পারে সেদিকে বিশেষভাবে নজর দেয়া হচ্ছে।  তবে গরুর  মাংশ, নতুন পটল, ভিন্ডি, সাজনের  দামটা একটু বেশী এখানেও আমরা কাজ করবো।  রোজায় মানুষ যেন শান্তিতে সাহরী ইফতারী করতে পারে, কোন সিন্ডিকেট করে দাম বৃদ্ধি করতে না পারে সেদিকে নজর দেয়া হচ্ছে। এ অভিযান আগামীতে অব্যাহত থাকবে ইনসাল্লাহ।
বাখ//আর