০৫:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উপদেষ্টা পরিষদের সভায় যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো

অনলাইন ডেস্ক

নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের সংশোধনী পাস হয়েছে উপদেষ্টা পরিষদের সভায়। এছাড়াও আরও তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবারের সভায়। আজ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকালে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সভায় নেওয়া পাঁচ সিদ্ধান্ত

১. নারী ও শিশু নির্যাতন আইন এর সংশোধনী পাস হয়েছে।

২. সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা বাড়াতে এবং সিন্ডিকেট ভাঙতে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অধ্যাদেশের সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রাক্কলিত মূল্যের ১০ পার্সেন্টের কম হলে টেন্ডার প্রস্তাব বাতিলের যে বিধান তা বাতিল করা হয়েছে। পূর্বের কাজের মূল্যায়নের জন্য যে ম্যাট্রিক্স ছিল, যেটা থাকার কারণে একই প্রতিষ্ঠান বার বার কাজ পেতো, তা বদলে নতুন সক্ষমতা ম্যাট্রিক্স করা হবে। এতে করে সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব হবে। বর্তমানে ৬৫ শতাংশ কাজের দরপত্র বা টেন্ডার অনলাইনে হচ্ছে। এটিতে শতভাগে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

৩. পরিত্যক্ত বাড়ি বরাদ্দপ্রাপ্তরা পূর্বে নিজ নামে নামজারি করতে পারতেন না। সেই অসুবিধা দূর করতে আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে।

৪. জনসাধারণের সুবিধার্থে ৩রা এপ্রিল একদিন ঈদের ছুটি বাড়ানো হয়েছে। একইসঙ্গে চৈত্র সংক্রান্তিতে নির্বাহী আদেশে তিন পার্বত্য জেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সাঁওতাল, গারো, খাসিয়া, জৈন্তাসহ সমতলের বাঙালি ছাড়া অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীও এই ছুটির আওতায় থাকবে।

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৭:৪১:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
৭৭ জন দেখেছেন

উপদেষ্টা পরিষদের সভায় যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো

আপডেট : ০৭:৪১:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের সংশোধনী পাস হয়েছে উপদেষ্টা পরিষদের সভায়। এছাড়াও আরও তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবারের সভায়। আজ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকালে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সভায় নেওয়া পাঁচ সিদ্ধান্ত

১. নারী ও শিশু নির্যাতন আইন এর সংশোধনী পাস হয়েছে।

২. সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা বাড়াতে এবং সিন্ডিকেট ভাঙতে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অধ্যাদেশের সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রাক্কলিত মূল্যের ১০ পার্সেন্টের কম হলে টেন্ডার প্রস্তাব বাতিলের যে বিধান তা বাতিল করা হয়েছে। পূর্বের কাজের মূল্যায়নের জন্য যে ম্যাট্রিক্স ছিল, যেটা থাকার কারণে একই প্রতিষ্ঠান বার বার কাজ পেতো, তা বদলে নতুন সক্ষমতা ম্যাট্রিক্স করা হবে। এতে করে সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব হবে। বর্তমানে ৬৫ শতাংশ কাজের দরপত্র বা টেন্ডার অনলাইনে হচ্ছে। এটিতে শতভাগে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

৩. পরিত্যক্ত বাড়ি বরাদ্দপ্রাপ্তরা পূর্বে নিজ নামে নামজারি করতে পারতেন না। সেই অসুবিধা দূর করতে আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে।

৪. জনসাধারণের সুবিধার্থে ৩রা এপ্রিল একদিন ঈদের ছুটি বাড়ানো হয়েছে। একইসঙ্গে চৈত্র সংক্রান্তিতে নির্বাহী আদেশে তিন পার্বত্য জেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সাঁওতাল, গারো, খাসিয়া, জৈন্তাসহ সমতলের বাঙালি ছাড়া অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীও এই ছুটির আওতায় থাকবে।