০৮:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঈশ্বরদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জনসহ ৫ জন নিহত

পাবনার ঈশ্বরদীতে বাস ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজনসহ মোট ৫ জন নিহত হয়েছে। এসময় আরোও দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার(২০ মার্চ) সন্ধ্যায় ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের বহরপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের বাঘইল গ্রামের মৃত বাবু প্রামানিকের ছেলে রাব্বি প্রামানিক ( ৩০ ), রাব্বির স্ত্রী মুক্তা খাতুন ( ২৭ ) , তাদের দুই বছর বয়সী ছেলে মুস্তাকিম। নিহত অপর দুইজন হলেন ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার রতিডাঙ্গা গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে রাতুল হোসেন (৩০) এবং ঈশ্বরদীর মোঃ রানার ছেলে সিএনজি চালক ত্বোহা হোসেন (২৫)। ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর মীর আমিরুল ইসলাম ও ঈশ্বরদী থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের স্বজনদের সুত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদী বাজারে পরিবারসহ ঈদের জন্য কেনাকাটা করতে এসেছিলেন নিহত রাব্বি হোসেন ও তার পরিবার। কেনাকাটা শেষে সিএনজিযোগে বাড়ি ফেরতে ছিলেন। ঘটনাস্থলে নাটোর -বগুড়া সড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাস ভলকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সিএনজির মুখোমুখিভাবে আঘাত করে। এতে সিএনজিটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই ৩ জন মারা যান। পরে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা হতাহতদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে আরো একজনের মৃত্যু হয়। প্রথমিক চিকিৎসা শেষে মোঃ ত্বোহা, ফরিদা বেগম ও আব্দুর রহমানকে আশংকাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। রাজশাহী বাঘা উপজেলা পর্যন্ত পৌঁছালে সিএনজি চালক মোঃ ত্বোহা মারা যান।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শামসুদ্দিন হায়দার জানান, এ ঘটনায় নিহত ৪ জনের মরদেহ ঈশ্বরদী হাসপাতালে রয়েছে। আহত মোঃ মোস্তফা (২৫), ফরিদা (৫০) ও মোঃ ত্বোহাকে(২৫) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। শুনেছি পথিমধ্যে ত্বোহা নামে আরেকজন মারা গেছে।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শহীদুল ইসলাম শহীদ জানা, সড়ক দূর্ঘটনায় ৫জন মারা গেছে। ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরিবারের লোকজন কোন লিখিত অভিযোগ দিলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ঘাতক বাসের চালক ও হেলপার বাস রেখে পালিয়েছে।
বাখ//আর