রাজারহাটের চাকিরপশার বিলে উচ্ছেদ অভিযান শুরু

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঐতিহ্যবাহি চাকিরপশার বিলে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে । বৃহস্পতিবার দুপুরে চাকিরপশার বিলের বাঁশেরদহ নামক স্থানে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে উপজেলা প্রশাসন।
জানা গেছে,রাজারহাটের ইটাকুড়ির দোলা থেকে উৎপন্ন হয়ে ২২ কি.মি প্রবাহিত হবার পর উলিপুরের থেতরাই ইউনিয়নে তিস্তা নদীর সাথে এই বিলের পানি প্রবাহ ছিল । আশির দশকের শুরু থেকে ক্রমশ দখল হয়ে প্রায় ক্ষীণ হয়ে পড়ে বিলটি। বিলের ভিতরে পাড় বেঁধে পুকুর বানিয়ে শুরু হয় মাছ চাষ। ফলে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয়ে উজানে ১৫ থেকে ২০হাজার একর জমিতে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। জলাব্ধতা নিরসন এবং নদীতে মানুষের অধিকার আদায়ের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলো চাকিরপশার নদী সুরক্ষা কমিটি। বিষয়টি বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির(বেলা) দৃষ্টি গোচর হলে তারা জনস্বার্থে হাইকোর্টে একটি রিট করলে হাইকোর্ট নদীতে থাকা সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ প্রদান করেন । এরই সূত্র ধরে এই উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয় বলে জানা গেছে । অভিযানে বাঁশের দহ নামক স্থানে বিলের মাঝে বাঁধ দিয়ে তার উপর নির্মিত তিনটি কাঁচাপাকা বাড়ি ও বাঁধ উচ্ছেদ করে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করা হয়।
চাকির পশার বিলের তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দা আলম মিয়া বলেন,আগে কিছু লোকজন বিলের এই অংশটিকে পুকুরের মতো নিজেদের ইচ্ছামত মাছ ধরতো, এলাকাবাসী সুবিধা বঞ্চিত ছিল । এখন পানি প্রবাহ স্বাভাবিক হওয়ার কারণে বিলের উন্মুক্ত স্থানে সকলেই মাছ ধরা সহ চাষাবাদের ক্ষেত্রে পানি ব্যবহার করে উপকৃত হবেন।
তবে এতেও সন্তোষ্ট নয় চাকিরপশার নিয়ে আন্দোলনকারীরা । চাকিরপশার নদী সুরক্ষা কমিটির আহবায়ক খন্দকার আরিফ বলেন, উজানে পানি প্রবাহের প্রতিবন্ধকতা বহাল রেখে ভাটিতে অগুরুত্বপূর্ণ স্থানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা মোটা দাগে জলাবদ্ধতার শিকার কৃষক এবং নদীবর্তী মানুষের সঙ্গে প্রহসনের শামিল।
তবে রাজারহাট উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আশাদুল হক বলেন,উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে,পর্যায়ক্রমে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বাখ//আর