০৮:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেমিফাইনালের পথে এক পা দিয়ে রাখল ডেনমার্ক

স্পোর্টস ডেস্ক

একের পর এক আক্রমণ করে যাচ্ছিল ডেনমার্ক, আর গোলপোস্টে চীনের প্রাচীর তুলে বল ঠেকিয়ে যাচ্ছিলেন পর্তুগিজ গোলকিপার দিয়োগো কস্তা। এর মধ্যে প্রথমার্ধে ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের একটা পেনাল্টিও ঠেকান কস্তা। অন্যদিকে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো-ব্রুনো ফের্নান্দেসরা যেন নিজেদের হারিয়ে খুঁজছেন। ম্যাচের ৭৭ মিনিট পর্যন্ত ডেনমার্ক-পর্তুগালের ম্যাচের সারমর্ম ছিল এটাই।

উয়েফা নেশনস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচটা ড্রয়ের পথেই হাঁটছিল। এমন সময় ৭৮ মিনিটে পর্তুগালের জালে বল জড়িয়ে কোপেনহেগের পার্কেন স্টেডিয়ামের উচ্ছ্বাস কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেন রাসমুস হয়লুন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলা ২২ বছর বয়সী এ স্ট্রাইকারের গোলটাই শেষপর্যন্ত ম্যাচের ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। তাতে ১-০ গোলের জয়ে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালের পথে এক পা দিয়ে রাখল ডেনমার্ক।

গতকাল বহুকাঙ্ক্ষিত গোলের পর রোনালদোর সামনেই তাঁর বিখ্যাত ‘সিউউউ’ উদযাপন করেন হয়লুন। অবশ্য এ নিয়ে ম্যাচ শেষে কথাও বলেছেন ডেনিস তারকা। হয়লুন জানিয়েছেন, পর্তুগিজ কিংবদন্তিকে উপহাস করার জন্য এমন উদযাপন করেননি তিনি।

অবশ্য হয়লুন যে রোনালদোর বড় ভক্ত, সেটা এর আগে অনেকবারই জানিয়েছেন। এইতো কয়েকদিন আগেও এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘রোনালদোর জন্যই আমি ফুটবলের প্রেমে পড়েছিলাম।’ গতকাল ম্যাচ শেষেও প্রায় একই কথার পুনরাবৃত্তি করেছেন।

‘সিউউউ’ উদযাপন প্রসঙ্গে হয়লুন বলেছেন, ‘এটা আমার আইডলকে অনুসরণ করেই। এটা মোটেও তাঁকে ব্যঙ্গ করা বা এ জাতীয় কিছু ছিল না। আমার নিজের ও ফুটবল ক্যারিয়ারের ওপর তাঁর প্রভাব অনেক। যদিও অনুভূতিটা মিশ্র, কিন্তু তাঁর ও পর্তুগালের বিপক্ষে গোল করাটা বিশাল ব্যাপার।’

কখন থেকে রোনালদোর ভক্ত বনে গেছেন, সেটাও জানিয়েছেন হয়লুন, ‘আমার মনে আছে,২০১১ সালে একটা ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন, ওই ম্যাচে ক্রিস্টিয়ানো ফ্রি-কিকে একটা গোল করেছিলেন। এরপর থেকেই আমি রোনালদোর বড় ভক্ত বনে গেছি।’

রোনালদো ভক্ত হয়লুনের কাজটা অবশ্য এখনো শেষ হয়নি। আগামী রোববার রাতে ফিরতি লেগের ম্যাচে পর্তুগালের মাঠে মুখোমুখি হবে দুদল। টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে উঠতে সে ম্যাচে অন্তত ড্র করলেও চলবে ডেনিশদের।

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ১২:৩২:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
৭২ জন দেখেছেন

সেমিফাইনালের পথে এক পা দিয়ে রাখল ডেনমার্ক

আপডেট : ১২:৩২:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

একের পর এক আক্রমণ করে যাচ্ছিল ডেনমার্ক, আর গোলপোস্টে চীনের প্রাচীর তুলে বল ঠেকিয়ে যাচ্ছিলেন পর্তুগিজ গোলকিপার দিয়োগো কস্তা। এর মধ্যে প্রথমার্ধে ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের একটা পেনাল্টিও ঠেকান কস্তা। অন্যদিকে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো-ব্রুনো ফের্নান্দেসরা যেন নিজেদের হারিয়ে খুঁজছেন। ম্যাচের ৭৭ মিনিট পর্যন্ত ডেনমার্ক-পর্তুগালের ম্যাচের সারমর্ম ছিল এটাই।

উয়েফা নেশনস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচটা ড্রয়ের পথেই হাঁটছিল। এমন সময় ৭৮ মিনিটে পর্তুগালের জালে বল জড়িয়ে কোপেনহেগের পার্কেন স্টেডিয়ামের উচ্ছ্বাস কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেন রাসমুস হয়লুন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলা ২২ বছর বয়সী এ স্ট্রাইকারের গোলটাই শেষপর্যন্ত ম্যাচের ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। তাতে ১-০ গোলের জয়ে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালের পথে এক পা দিয়ে রাখল ডেনমার্ক।

গতকাল বহুকাঙ্ক্ষিত গোলের পর রোনালদোর সামনেই তাঁর বিখ্যাত ‘সিউউউ’ উদযাপন করেন হয়লুন। অবশ্য এ নিয়ে ম্যাচ শেষে কথাও বলেছেন ডেনিস তারকা। হয়লুন জানিয়েছেন, পর্তুগিজ কিংবদন্তিকে উপহাস করার জন্য এমন উদযাপন করেননি তিনি।

অবশ্য হয়লুন যে রোনালদোর বড় ভক্ত, সেটা এর আগে অনেকবারই জানিয়েছেন। এইতো কয়েকদিন আগেও এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘রোনালদোর জন্যই আমি ফুটবলের প্রেমে পড়েছিলাম।’ গতকাল ম্যাচ শেষেও প্রায় একই কথার পুনরাবৃত্তি করেছেন।

‘সিউউউ’ উদযাপন প্রসঙ্গে হয়লুন বলেছেন, ‘এটা আমার আইডলকে অনুসরণ করেই। এটা মোটেও তাঁকে ব্যঙ্গ করা বা এ জাতীয় কিছু ছিল না। আমার নিজের ও ফুটবল ক্যারিয়ারের ওপর তাঁর প্রভাব অনেক। যদিও অনুভূতিটা মিশ্র, কিন্তু তাঁর ও পর্তুগালের বিপক্ষে গোল করাটা বিশাল ব্যাপার।’

কখন থেকে রোনালদোর ভক্ত বনে গেছেন, সেটাও জানিয়েছেন হয়লুন, ‘আমার মনে আছে,২০১১ সালে একটা ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন, ওই ম্যাচে ক্রিস্টিয়ানো ফ্রি-কিকে একটা গোল করেছিলেন। এরপর থেকেই আমি রোনালদোর বড় ভক্ত বনে গেছি।’

রোনালদো ভক্ত হয়লুনের কাজটা অবশ্য এখনো শেষ হয়নি। আগামী রোববার রাতে ফিরতি লেগের ম্যাচে পর্তুগালের মাঠে মুখোমুখি হবে দুদল। টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে উঠতে সে ম্যাচে অন্তত ড্র করলেও চলবে ডেনিশদের।