০৫:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এফ-৪৭ তৈরিতে বোয়িংয়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ষষ্ঠ প্রজন্মের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান এফ ফোর সেভেন তৈরির জন্য লকহেড মার্টিনের পরিবর্তে বোয়িংয়ের সঙ্গে চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তৈরি সবচেয়ে প্রাণঘাতী বিমান এটি। গোপনে পাঁচ বছর ধরে পরীক্ষামূলকভাবে চলছে এই বিমান। যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, এতো যুদ্ধবিমান থাকতে যুক্তরাষ্ট্রের এই মুহূর্তে এতো ব্যয়বহুল যুদ্ধবিমানের কোন প্রয়োজন নেই।

মার্কিন বিমান বাহিনীর জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরি করে বোয়িং। এই বিমানের সঙ্গে প্রতিস্থাপন করা হবে লক-হেড মার্টিন র‌্যাপটরের এফ টু টু বিমান। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হওয়ায় এই বিমানের নামকরণ করা হবে এফ ফোর্টি সেভেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প না জানালেও বিভিন্ন সূত্র বলছে, বোয়িংয়ের সঙ্গে ২ হাজার কোটি ডলারের চুক্তি হয়েছে। বিমান বাহিনীর জন্য ষষ্ঠ প্রজন্মের এই যুদ্ধবিমানের জন্য এখন বিলিয়ন ডলারের ক্রয়াদেশ আসবে বোয়িংয়ের কাছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘মার্কিন শীর্ষ অ্যারোস্পেস প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিযোগিতার পর এই চুক্তি বোয়িংকে দিচ্ছি। এফ ফোর সেভেন এখন পর্যন্ত সবচেয়ে অত্যাধুনিক, প্রাণঘাতী যুদ্ধবিমান হবে। গোপনে পরীক্ষামূলকভাবে এই বিমানের একটি সংস্করণ ৫ বছর ধরে উড়ছে। মিত্ররা এই বিমান কেনার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। কিন্তু সব মিত্র দেশের কাছে এই বিমান বিক্রি করবো না, কারণ ভবিষ্যতে কে শত্রু হয়ে যায়, বলা যায় না।’

সাম্প্রতিক সময়ে এফ থ্রি ফাইভ ফাইটার জেট সংস্করণ নিয়ে টানাপড়েনের জেরে লকহেড মার্টিনের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যে কারণে বিমান বাহিনীর জন্য নতুন যুদ্ধযান তৈরির জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প বেছে নিয়েছেন বোয়িংকে।

এই যুদ্ধবিমানের তথ্য নিয়ে গোপনীয়তা রক্ষা করলেও জানা গেছে, এফ টু টু’র তুলনায় এফ ফাইভ সেভেন অত্যাধুনিক হওয়ার পাশাপাশি বিমান অনেক বেশি ব্যয়বহুল হবে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানের বহরে ১৮০ টি এফ টু টু ফাইটার জেট রয়েছে। এই ঘোষণার পর বোয়িংয়ের শেয়ারের দর বাড়লেও কমেছে লকহেড মার্টিনের শেয়ারের দর।

খরচ আর পেন্টাগনের এই মুহূর্তে এই বিমানের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সমালোচকরা বলছেন, এই বিমান তৈরিতে করদাতাদের কাছ থেকে আসবে প্রায় ২ লাখ কোটি ডলার। সেই সঙ্গে পেন্টাগনের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বোমারু বিমান বি টুয়েন্টি ওয়ান রেইডারও একই প্রযুক্তি অনুসরণে তৈরি হচ্ছে।

১০০ বোমারু বিমান বানাতে খরচ পড়বে ১৩ হাজার কোটি ডলার। তাছাড়া ১ হাজারের বেশি এফ থ্রি ফাইভ যুদ্ধবিমান তৈরি আছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, স্টেলথ বিমানের জন্য ২ হাজার কোটি ডলারের বরাদ্দ প্রাথমিক, এই বিমান বানাতে খরচ পড়বে শত শত কোটি ডলার, যা এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অপ্রয়োজনীয়।

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৬:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
৭৮ জন দেখেছেন

এফ-৪৭ তৈরিতে বোয়িংয়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তি

আপডেট : ০৬:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

ষষ্ঠ প্রজন্মের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান এফ ফোর সেভেন তৈরির জন্য লকহেড মার্টিনের পরিবর্তে বোয়িংয়ের সঙ্গে চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তৈরি সবচেয়ে প্রাণঘাতী বিমান এটি। গোপনে পাঁচ বছর ধরে পরীক্ষামূলকভাবে চলছে এই বিমান। যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, এতো যুদ্ধবিমান থাকতে যুক্তরাষ্ট্রের এই মুহূর্তে এতো ব্যয়বহুল যুদ্ধবিমানের কোন প্রয়োজন নেই।

মার্কিন বিমান বাহিনীর জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরি করে বোয়িং। এই বিমানের সঙ্গে প্রতিস্থাপন করা হবে লক-হেড মার্টিন র‌্যাপটরের এফ টু টু বিমান। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হওয়ায় এই বিমানের নামকরণ করা হবে এফ ফোর্টি সেভেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প না জানালেও বিভিন্ন সূত্র বলছে, বোয়িংয়ের সঙ্গে ২ হাজার কোটি ডলারের চুক্তি হয়েছে। বিমান বাহিনীর জন্য ষষ্ঠ প্রজন্মের এই যুদ্ধবিমানের জন্য এখন বিলিয়ন ডলারের ক্রয়াদেশ আসবে বোয়িংয়ের কাছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘মার্কিন শীর্ষ অ্যারোস্পেস প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিযোগিতার পর এই চুক্তি বোয়িংকে দিচ্ছি। এফ ফোর সেভেন এখন পর্যন্ত সবচেয়ে অত্যাধুনিক, প্রাণঘাতী যুদ্ধবিমান হবে। গোপনে পরীক্ষামূলকভাবে এই বিমানের একটি সংস্করণ ৫ বছর ধরে উড়ছে। মিত্ররা এই বিমান কেনার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। কিন্তু সব মিত্র দেশের কাছে এই বিমান বিক্রি করবো না, কারণ ভবিষ্যতে কে শত্রু হয়ে যায়, বলা যায় না।’

সাম্প্রতিক সময়ে এফ থ্রি ফাইভ ফাইটার জেট সংস্করণ নিয়ে টানাপড়েনের জেরে লকহেড মার্টিনের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যে কারণে বিমান বাহিনীর জন্য নতুন যুদ্ধযান তৈরির জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প বেছে নিয়েছেন বোয়িংকে।

এই যুদ্ধবিমানের তথ্য নিয়ে গোপনীয়তা রক্ষা করলেও জানা গেছে, এফ টু টু’র তুলনায় এফ ফাইভ সেভেন অত্যাধুনিক হওয়ার পাশাপাশি বিমান অনেক বেশি ব্যয়বহুল হবে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানের বহরে ১৮০ টি এফ টু টু ফাইটার জেট রয়েছে। এই ঘোষণার পর বোয়িংয়ের শেয়ারের দর বাড়লেও কমেছে লকহেড মার্টিনের শেয়ারের দর।

খরচ আর পেন্টাগনের এই মুহূর্তে এই বিমানের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সমালোচকরা বলছেন, এই বিমান তৈরিতে করদাতাদের কাছ থেকে আসবে প্রায় ২ লাখ কোটি ডলার। সেই সঙ্গে পেন্টাগনের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বোমারু বিমান বি টুয়েন্টি ওয়ান রেইডারও একই প্রযুক্তি অনুসরণে তৈরি হচ্ছে।

১০০ বোমারু বিমান বানাতে খরচ পড়বে ১৩ হাজার কোটি ডলার। তাছাড়া ১ হাজারের বেশি এফ থ্রি ফাইভ যুদ্ধবিমান তৈরি আছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, স্টেলথ বিমানের জন্য ২ হাজার কোটি ডলারের বরাদ্দ প্রাথমিক, এই বিমান বানাতে খরচ পড়বে শত শত কোটি ডলার, যা এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অপ্রয়োজনীয়।