০৯:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছে: তারেক রহমান

অনলাইন ডেস্ক

সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কোনোভাবেই যেন স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিতে না পারে সে দিকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

আজ (শনিবার, ২২ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে ১২ জোটের উদ্যোগে আয়োজনে একটি হোটেলে তিনি একথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, আমাদেরকে যে কোনো মূল্যে ঐক্যকে ধরে রাখতে হবে। মত-ভিন্নতা থাকবে, আমরা বসব, আলোচনা করব। এমন কিছু বলব না এবং এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকব যাতে করে কোনোভাবেই স্বৈরাচার বা তার প্রেত্মাতারা আবার এদেশের মানুষের কাঁধে চেপে বসতে পারে।

আন্দোলনে সহকর্মী ও আপনজনদের হারানোর কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, আসুন, যে ঐক্যকে নিয়ে আমরা স্বৈরাচারকে বিদায় করেছিলাম, সেই ঐক্যকে আমরা ধরে রাখি। আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে আগামী দিনে এই ঐক্যকে বজায় রেখে, এদেশের মানুষের প্রত্যাশিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করার।

হুঁশিয়ারি দিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সময় প্রশাসনের দলীয়করণ হয়েছে। যারা এর সাথে জড়িত তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘গণতন্ত্র মানে নির্ভয়ে নির্বাচনে ভোট দেয়া। সেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নির্বাচন ও সংস্কারকে মুখোমুখি করা হচ্ছে। যা শেষ হয়ে যায় তা সংস্কার না, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া।’

তারেক রহমান বলেন, কেউ কেউ বলছেন যে সংস্কার শেষ হবে তারপর নির্বাচন হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, যেটা শেষ হয়ে যায় সেটা তো সংস্কার হতে পারে না। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় যে গাফেলতিগুলো আছে, তা সংস্কার করব এবং সময়ের সঙ্গে আরও ভালো ব্যবস্থা করব। দেশের মানুষের জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও উন্নত করব।

তিনি আরও বলেন, আমরা যারা এখানে আছি, রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃবৃন্দ, আমাদের রাজনৈতিক ভিন্নমত আছে, আদর্শ সবার এক নয়, কিন্তু একটি জায়গায় আমরা সবাই এক—তথা বাংলাদেশ, বাংলাদেশের মানুষ ও গণতন্ত্র। এখানে কোনো বিভেদ নেই।

১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে এবং মুখপাত্র জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদার সঞ্চালনায় ইফতারপূর্ব আলোচনায় বক্তব্য রাখেন, বিএনপির সেলিমা রহমান, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, বিএলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আখতার হোসেন, গণ অধিকার পরিষদের ফারুক হাসান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) কাজী নাহিদ।

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ১০:১৯:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
৮০ জন দেখেছেন

সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছে: তারেক রহমান

আপডেট : ১০:১৯:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কোনোভাবেই যেন স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিতে না পারে সে দিকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

আজ (শনিবার, ২২ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে ১২ জোটের উদ্যোগে আয়োজনে একটি হোটেলে তিনি একথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, আমাদেরকে যে কোনো মূল্যে ঐক্যকে ধরে রাখতে হবে। মত-ভিন্নতা থাকবে, আমরা বসব, আলোচনা করব। এমন কিছু বলব না এবং এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকব যাতে করে কোনোভাবেই স্বৈরাচার বা তার প্রেত্মাতারা আবার এদেশের মানুষের কাঁধে চেপে বসতে পারে।

আন্দোলনে সহকর্মী ও আপনজনদের হারানোর কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, আসুন, যে ঐক্যকে নিয়ে আমরা স্বৈরাচারকে বিদায় করেছিলাম, সেই ঐক্যকে আমরা ধরে রাখি। আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে আগামী দিনে এই ঐক্যকে বজায় রেখে, এদেশের মানুষের প্রত্যাশিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করার।

হুঁশিয়ারি দিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সময় প্রশাসনের দলীয়করণ হয়েছে। যারা এর সাথে জড়িত তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘গণতন্ত্র মানে নির্ভয়ে নির্বাচনে ভোট দেয়া। সেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নির্বাচন ও সংস্কারকে মুখোমুখি করা হচ্ছে। যা শেষ হয়ে যায় তা সংস্কার না, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া।’

তারেক রহমান বলেন, কেউ কেউ বলছেন যে সংস্কার শেষ হবে তারপর নির্বাচন হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, যেটা শেষ হয়ে যায় সেটা তো সংস্কার হতে পারে না। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় যে গাফেলতিগুলো আছে, তা সংস্কার করব এবং সময়ের সঙ্গে আরও ভালো ব্যবস্থা করব। দেশের মানুষের জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও উন্নত করব।

তিনি আরও বলেন, আমরা যারা এখানে আছি, রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃবৃন্দ, আমাদের রাজনৈতিক ভিন্নমত আছে, আদর্শ সবার এক নয়, কিন্তু একটি জায়গায় আমরা সবাই এক—তথা বাংলাদেশ, বাংলাদেশের মানুষ ও গণতন্ত্র। এখানে কোনো বিভেদ নেই।

১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে এবং মুখপাত্র জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদার সঞ্চালনায় ইফতারপূর্ব আলোচনায় বক্তব্য রাখেন, বিএনপির সেলিমা রহমান, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, বিএলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আখতার হোসেন, গণ অধিকার পরিষদের ফারুক হাসান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) কাজী নাহিদ।