০৪:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে যা বলছেন বিশ্লেষকরা

অনলাইন ডেস্ক

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান, সাংবাদিকতা, সাংবাদিক ও মালিকসহ সব পক্ষের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তবে, এটি বাস্তবায়নে মালিকপক্ষের ভূমিকাকে বড় বলছেন তারা। আর সরকারকে গণমাধ্যমের লাইসেন্স দেয়ার ক্ষেত্রেও সতর্ক হবার আহবান জানান বিশেষজ্ঞরা।

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন শনিবার তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের কাছে। প্রতিবেদনে স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশন গঠন, সাংবাদিকতায় বাধা এমন আইনের সংস্কার, গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ও সাংবাদিকদের সুরক্ষা, সাংবাদিকদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বেতন, ভুল ও অসত্য সংবাদ প্রচারে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির সুরক্ষা, সংবাদপত্রের সার্কুলেশনে স্বচ্ছতা আনাসহ ২০টি সুপারিশ দিয়েছে কমিশন।

বিশ্লেষকরা গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশে ভিন্নমত জানালেও মুক্ত সাংবাদিকতার জন্য এসব প্রস্তাব ইতিবাচকভাবে দেখছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক শামীম রেজা ও প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হোসেন।

প্রস্তাবিত এক উদ্যোক্তার এক গণমাধ্যম নীতি বাস্তবায়ন করা গেলে সংবাদমাধ্যমে হস্তক্ষেপ কমবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকদের কেউ কেউ। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জিং বলেও মনে করেন তারা।

সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন ও শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে আছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

সকল সুপারিশ বাস্তবায়ন সম্ভব না হলেও জরুরী কিছু প্রস্তাব দ্রুতই বাস্তবায়নের তাগিদ দেন বিশ্লেষকরা।

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ১০:৫৫:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
৭৪ জন দেখেছেন

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে যা বলছেন বিশ্লেষকরা

আপডেট : ১০:৫৫:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান, সাংবাদিকতা, সাংবাদিক ও মালিকসহ সব পক্ষের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তবে, এটি বাস্তবায়নে মালিকপক্ষের ভূমিকাকে বড় বলছেন তারা। আর সরকারকে গণমাধ্যমের লাইসেন্স দেয়ার ক্ষেত্রেও সতর্ক হবার আহবান জানান বিশেষজ্ঞরা।

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন শনিবার তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের কাছে। প্রতিবেদনে স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশন গঠন, সাংবাদিকতায় বাধা এমন আইনের সংস্কার, গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ও সাংবাদিকদের সুরক্ষা, সাংবাদিকদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বেতন, ভুল ও অসত্য সংবাদ প্রচারে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির সুরক্ষা, সংবাদপত্রের সার্কুলেশনে স্বচ্ছতা আনাসহ ২০টি সুপারিশ দিয়েছে কমিশন।

বিশ্লেষকরা গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশে ভিন্নমত জানালেও মুক্ত সাংবাদিকতার জন্য এসব প্রস্তাব ইতিবাচকভাবে দেখছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক শামীম রেজা ও প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হোসেন।

প্রস্তাবিত এক উদ্যোক্তার এক গণমাধ্যম নীতি বাস্তবায়ন করা গেলে সংবাদমাধ্যমে হস্তক্ষেপ কমবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকদের কেউ কেউ। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জিং বলেও মনে করেন তারা।

সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন ও শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে আছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

সকল সুপারিশ বাস্তবায়ন সম্ভব না হলেও জরুরী কিছু প্রস্তাব দ্রুতই বাস্তবায়নের তাগিদ দেন বিশ্লেষকরা।