০৪:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নওগাঁর আত্রাই কাঁচা রাস্তার বেহাল দশা দুর্ভোগে তিন উপজেলা বাসি

নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁর আত্রাই উপজেলার হাটকালুপাড়া গ্রামের প্রায় ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ কাঁচা রাস্তা নিয়ে দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই রাস্তা গ্রামটির যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হলেও এর করুণ অবস্থার কারণে প্রতিদিনের জীবনযাত্রা হয়ে উঠেছে কঠিন। রাস্তার পূর্ব পাশে বিস্তৃত বিলসোতী বিলের হাজার হাজার বিঘা জমিতে কৃষকরা ফসল ফলান,কিন্তু কাঁচা রাস্তার কারণে তাদের উৎপাদিত ফসল বাজারে নিয়ে যেতে হয় অনেক বেশি খরচে।এই রাস্তা দিয়ে হাটকালুপাড়া, ফতেপুর, হুলিখালী, মিরপুর, বাজার পাড়া,পারশিমলা, কুমারপুর, লাউবাড়িয়া, জোলাপাড়া, নানসোর, চকশিমলা, বড়শিমলা, সন্ন্যাসবাড়ী,বান্দাইখাড়া, আত্রাই, বাগমারা ও মান্দা এলাকার হাজারো মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন।
কিন্তু ওয়াবদা রাস্তার বেহাল দশার কারণে তাদের যাতায়াতের সময় যেমন বাড়ছে,তেমনি বাড়ছে দুর্ভোগ। বিশেষ করে স্কুলগামী শিশুদের জন্য এই রাস্তা পাড়ি দেওয়া এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। গ্রামে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,একটি দাখিল মাদ্রাসা ও একটি কমিউনিটি ক্লিনিক থাকলেও ভালো রাস্তা না থাকায় শিশুদের পায়ে হেঁটেই স্কুলে যেতে হয়।
গ্রামের পশ্চিম পাশে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ থাকলেও বর্ষাকালে ফকিন্নি নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে বাঁধ ভেঙে গোটা গ্রাম প্লাবিত হয়। এ সময় রাস্তার অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে, যা গ্রামবাসীর দুর্ভোগকে বাড়িয়ে তোলে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, “গ্রামবাসীদের দুর্ভোগের বিষয়টি আমরা জানি এবং এই রাস্তা পাকা করার জন্য আমরা জেলা ও স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে বারবার আবেদন জানিয়েছি। এই রাস্তাটি পাকা হলে শুধু গ্রামবাসীর যাতায়াতের দুর্ভোগই কমবে না,বরং কৃষকদের উৎপাদিত ফসল বাজারে নিয়ে যাওয়ার খরচও কমবে,যা তাদের আর্থিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।আমি আশা করি,এই সমস্যার সমাধান হবে এবং গ্রামবাসীরা তাদের প্রত্যাশিত উন্নয়ন পাবে।”
স্থানীয় কৃষক মোঃ আফজাল হোসেন বলেন,আমাদের উৎপাদিত ফসল বাজারে নিয়ে যেতে ভাড়া বাবদ অনেক বেশি টাকা খরচ করতে হয়,যা আমাদের লাভের পরিমাণকে কমিয়ে দিচ্ছে।স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন,দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই রাস্তাটি পাকা করার দাবি জানিয়ে আসছি।এই রাস্তা পাকা হলে শুধু তাদের যাতায়াতের দুর্ভোগই কমবে না,বরং কৃষকদের উৎপাদিত ফসল বাজারে নিয়ে যাওয়ার খরচও কমবে,যা আমাদের আর্থিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।
এ ছাড়া স্কুলগামী শিশুদের জন্য যাতায়াতের সুবিধা তৈরি হবে,যা শিক্ষার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।স্থানীয় প্রশাসনের কাছে গ্রামবাসীর আবেদন,যেন এই ওয়াবদা রাস্তাটি দ্রুত পাকা করে তাদের দুর্ভোগ লাঘব করা হয়। তারা আশা করছেন,সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ছোঁয়া এই গ্রামেও পৌঁছাবে এবং তারা পাবে একটি সুগম ও নিরাপদ রাস্তা,যা তাদের জীবনযাত্রাকে সহজ করবে হাটকালুপাড়া গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি রাস্তাটি পাকা করা হোক। রাস্তাটি পাকা হলে শুধু যোগাযোগই নয়, কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রেও ব্যাপক উন্নতি ঘটবে। এলাকাবাসীর আশা, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করবে।
বাখ//আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৪:৩২:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
৯৭ জন দেখেছেন

নওগাঁর আত্রাই কাঁচা রাস্তার বেহাল দশা দুর্ভোগে তিন উপজেলা বাসি

আপডেট : ০৪:৩২:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
নওগাঁর আত্রাই উপজেলার হাটকালুপাড়া গ্রামের প্রায় ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ কাঁচা রাস্তা নিয়ে দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই রাস্তা গ্রামটির যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হলেও এর করুণ অবস্থার কারণে প্রতিদিনের জীবনযাত্রা হয়ে উঠেছে কঠিন। রাস্তার পূর্ব পাশে বিস্তৃত বিলসোতী বিলের হাজার হাজার বিঘা জমিতে কৃষকরা ফসল ফলান,কিন্তু কাঁচা রাস্তার কারণে তাদের উৎপাদিত ফসল বাজারে নিয়ে যেতে হয় অনেক বেশি খরচে।এই রাস্তা দিয়ে হাটকালুপাড়া, ফতেপুর, হুলিখালী, মিরপুর, বাজার পাড়া,পারশিমলা, কুমারপুর, লাউবাড়িয়া, জোলাপাড়া, নানসোর, চকশিমলা, বড়শিমলা, সন্ন্যাসবাড়ী,বান্দাইখাড়া, আত্রাই, বাগমারা ও মান্দা এলাকার হাজারো মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন।
কিন্তু ওয়াবদা রাস্তার বেহাল দশার কারণে তাদের যাতায়াতের সময় যেমন বাড়ছে,তেমনি বাড়ছে দুর্ভোগ। বিশেষ করে স্কুলগামী শিশুদের জন্য এই রাস্তা পাড়ি দেওয়া এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। গ্রামে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,একটি দাখিল মাদ্রাসা ও একটি কমিউনিটি ক্লিনিক থাকলেও ভালো রাস্তা না থাকায় শিশুদের পায়ে হেঁটেই স্কুলে যেতে হয়।
গ্রামের পশ্চিম পাশে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ থাকলেও বর্ষাকালে ফকিন্নি নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে বাঁধ ভেঙে গোটা গ্রাম প্লাবিত হয়। এ সময় রাস্তার অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে, যা গ্রামবাসীর দুর্ভোগকে বাড়িয়ে তোলে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, “গ্রামবাসীদের দুর্ভোগের বিষয়টি আমরা জানি এবং এই রাস্তা পাকা করার জন্য আমরা জেলা ও স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে বারবার আবেদন জানিয়েছি। এই রাস্তাটি পাকা হলে শুধু গ্রামবাসীর যাতায়াতের দুর্ভোগই কমবে না,বরং কৃষকদের উৎপাদিত ফসল বাজারে নিয়ে যাওয়ার খরচও কমবে,যা তাদের আর্থিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।আমি আশা করি,এই সমস্যার সমাধান হবে এবং গ্রামবাসীরা তাদের প্রত্যাশিত উন্নয়ন পাবে।”
স্থানীয় কৃষক মোঃ আফজাল হোসেন বলেন,আমাদের উৎপাদিত ফসল বাজারে নিয়ে যেতে ভাড়া বাবদ অনেক বেশি টাকা খরচ করতে হয়,যা আমাদের লাভের পরিমাণকে কমিয়ে দিচ্ছে।স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন,দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই রাস্তাটি পাকা করার দাবি জানিয়ে আসছি।এই রাস্তা পাকা হলে শুধু তাদের যাতায়াতের দুর্ভোগই কমবে না,বরং কৃষকদের উৎপাদিত ফসল বাজারে নিয়ে যাওয়ার খরচও কমবে,যা আমাদের আর্থিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।
এ ছাড়া স্কুলগামী শিশুদের জন্য যাতায়াতের সুবিধা তৈরি হবে,যা শিক্ষার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।স্থানীয় প্রশাসনের কাছে গ্রামবাসীর আবেদন,যেন এই ওয়াবদা রাস্তাটি দ্রুত পাকা করে তাদের দুর্ভোগ লাঘব করা হয়। তারা আশা করছেন,সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ছোঁয়া এই গ্রামেও পৌঁছাবে এবং তারা পাবে একটি সুগম ও নিরাপদ রাস্তা,যা তাদের জীবনযাত্রাকে সহজ করবে হাটকালুপাড়া গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি রাস্তাটি পাকা করা হোক। রাস্তাটি পাকা হলে শুধু যোগাযোগই নয়, কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রেও ব্যাপক উন্নতি ঘটবে। এলাকাবাসীর আশা, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করবে।
বাখ//আর