০৮:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সন্‌জীদা খাতুন মারা গেছেন

অনলাইন ডেস্ক

বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী, ছায়ানটের সভাপতি সন্‌জীদা খাতুন আর নেই। বার্ধক্যজনিত ও নানা রোগে আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সন্‌জীদা খাতুনের পরিবারের পক্ষ থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।

সন্‌জীদা খাতুন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব। তিনি একাধারে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী, লেখক, গবেষক, সংগঠক, সঙ্গীতজ্ঞ ও শিক্ষক। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং সভাপতি। এ ছাড়া তিনি জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদেরও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।

সন্‌জীদা খাতুনের জন্ম ১৯৩২ সালের ৪ এপ্রিল। তাঁর বাবা বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনের অন্যতম নেতা জাতীয় অধ্যাপক প্রয়াত কাজী মোতাহার হোসেন, মা সাজেদা খাতুন।

বাঙালি সংস্কৃতির প্রগতিশীল বিকাশে আত্ননিবেদিত সন্‌জীদা খাতুন সাংস্কৃতিক জগতে এক অনন্য মানুষ। ভাষা আন্দোলন, সাংস্কৃতিক স্বাধিকার আন্দোলন, শত বাধার মুখে রবীন্দ্র-শতবর্ষ উদ্‌যাপন, বটমূলে বর্ষবরণ ইত্যাদির মধ্য দিয়ে বাঙালির সাংস্কৃতিক জীবনকে ঋদ্ধ করে বাঙালিত্বের দৃঢ় ভিত্তি স্থাপনে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়।

মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশ গঠনেও অগ্রণী সাংস্কৃতিক নেত্রীর ভূমিকায় ছিলেনসন্‌জীদা খাতুন। তাঁর ঐকান্তিক সহযোগিতায় গড়ে উঠেছে ‘ছায়ানট’ ও জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের মতো সংগঠন। এ ছাড়া ‘ব্রতচারী’ আন্দোলন আর কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনও তাঁর কর্মকুশলতায় সমুজ্জ্বল। শিশু-শিক্ষার উদ্ভাবনী কর্মতৎপরতায় যুক্ত হয়ে গড়ে তুলেছেন ‘নালন্দা বিদ্যালয়’।

সন্‌জীদা খাতুন পড়াশোনা করেছেন কামরুননেসা স্কুল, ইডেন কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীতে। তিনি অধ্যাপনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৯:০০:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
১২২ জন দেখেছেন

সন্‌জীদা খাতুন মারা গেছেন

আপডেট : ০৯:০০:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী, ছায়ানটের সভাপতি সন্‌জীদা খাতুন আর নেই। বার্ধক্যজনিত ও নানা রোগে আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সন্‌জীদা খাতুনের পরিবারের পক্ষ থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।

সন্‌জীদা খাতুন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব। তিনি একাধারে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী, লেখক, গবেষক, সংগঠক, সঙ্গীতজ্ঞ ও শিক্ষক। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং সভাপতি। এ ছাড়া তিনি জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদেরও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।

সন্‌জীদা খাতুনের জন্ম ১৯৩২ সালের ৪ এপ্রিল। তাঁর বাবা বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনের অন্যতম নেতা জাতীয় অধ্যাপক প্রয়াত কাজী মোতাহার হোসেন, মা সাজেদা খাতুন।

বাঙালি সংস্কৃতির প্রগতিশীল বিকাশে আত্ননিবেদিত সন্‌জীদা খাতুন সাংস্কৃতিক জগতে এক অনন্য মানুষ। ভাষা আন্দোলন, সাংস্কৃতিক স্বাধিকার আন্দোলন, শত বাধার মুখে রবীন্দ্র-শতবর্ষ উদ্‌যাপন, বটমূলে বর্ষবরণ ইত্যাদির মধ্য দিয়ে বাঙালির সাংস্কৃতিক জীবনকে ঋদ্ধ করে বাঙালিত্বের দৃঢ় ভিত্তি স্থাপনে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়।

মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশ গঠনেও অগ্রণী সাংস্কৃতিক নেত্রীর ভূমিকায় ছিলেনসন্‌জীদা খাতুন। তাঁর ঐকান্তিক সহযোগিতায় গড়ে উঠেছে ‘ছায়ানট’ ও জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের মতো সংগঠন। এ ছাড়া ‘ব্রতচারী’ আন্দোলন আর কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনও তাঁর কর্মকুশলতায় সমুজ্জ্বল। শিশু-শিক্ষার উদ্ভাবনী কর্মতৎপরতায় যুক্ত হয়ে গড়ে তুলেছেন ‘নালন্দা বিদ্যালয়’।

সন্‌জীদা খাতুন পড়াশোনা করেছেন কামরুননেসা স্কুল, ইডেন কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীতে। তিনি অধ্যাপনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।