০৫:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সাগরকন্যা কুয়াকাটা 

এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
ঈদুল ফিতরের ৯ দিনের ছুটিতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হবে সূর্যোদয় সূর্যাস্তের বেলাভূমি  ‘সাগরকন্যা’ খ্যাত পর্যটন নগরী কুয়াকাটা। পুরো রমজান মাস জুড়েই পর্যটক শূন্য ছিল কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত তবে ঈদুল ফিতরের বেশ বড় ছুটিকে কাজে লাগাতে ভ্রমণ পিপাসুরা ছুটে আসবেন কুয়াকাটায়। এবারের ঈদে ব্যবসা-বাণিজ্য গতি পাবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে ৬০ শতাংশ হোটেল মোটেল  কক্ষ বুকিং হয়েছে  বলে হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।পর্যটকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ও সেবা দিতে প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পৌর কর্তৃপক্ষ।
খুশির ছোঁয়া দেখা গেছে স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীদের, ইতিমধ্যেই পবিত্র ঈদুল ফিতর  উপলক্ষে   সাজিয়ে নিচ্ছে আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ , কেনাবেচা জন্য তৈরি রয়েছে  রাখাইন মহিলা মার্কেট, ঝিনুক মার্কেট, বার্মিজ আচার, কাঁকড়া ফ্রাই, পর্যটকদের ছবি তোলার জন্য প্রস্তুত ক্যামেরাম্যান সহ, চটপটি ফুচকার দোকানে দেখা গেছে মানুষের আনাগোনা, কুয়াকাটা দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণ পিপাসা মেটানোর জন্য কাজ করতে প্রস্তুত , মোটরসাইকেল ড্রাইভার, অটোরিকশা চালক,কুয়াকাটা থেকে সমুদ্রপথে  বিভিন্ন দ্বীপ  ও বনাঞ্চল  ভ্রমণ করানোর জন্য  প্রস্তুত করা হয়েছে ট্যুরিস্ট বোট,স্পিড বোট এবং ওয়াটার বাইক।
এদিকে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা, সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা এবং পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে স্থানীয় স্টেক হোল্ডার, ১৬টি পেশার প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি, ট্যুরিস্ট পুলিশের সমন্বয়ে বৈঠক হয়েছে।এদিকে সৈকতে দীর্ঘদিন পর্যটক কম থাকায় পুরো সৈকতজুড়ে তৈরি হয়েছে ভিন্নতা। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য চমৎকার রূপে ডানা মেলেছে। কাছ থেকে প্রকৃতির এমন দৃশ্য এক নজর দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কুয়াকাটা আসবেন পর্যটকরা।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ বলেন, ঈদে লম্বা ছুটি থাকার কারনে পর্যটকদের চাপ হবে। ইতিমধ্য প্রায় ৭০ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গিয়েছে। পর্যটকদের সেবায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) সেক্রেটারি জেনারেল জহিরুল ইসলাম জানান, রমজান মাস পর্যটকশূন্য ছিল কুয়াকাটা, সেই সুযোগে হোটেল-মোটেলগুলো পরিপাটি করে তাদের প্রস্তুতি সেরে নিয়েছে। ঈদের টানা ছুটিতে লাখো পর্যটকের আগমন ঘটতে পারে।
হোটেল মোটেল ওনার্স অসোসিয়েশনের সভাপতি মোতালেব শরিফ বলেন, আমরা আশাবাদী পবিত্র ঈদুল ফিতরের দীর্ঘ লম্বা ৯ দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে  কুয়াকাটায় অনেক ট্যুরিস্টের আগমন হবে।আবার আগের মত প্রাণ খুঁজে পাবে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, হাসি ফুটবে সকল ব্যবসায়ীদের মনে। ইতিমধ্যেই বড় হোটেল মোটেল গুলোতে ৬০% এবং ছোট হোটেল গুলো ৭০% এর মত আগাম বুকিং হয়েছে।দুই এক দিনের মধ্যে আরো বুকিং বাড়বে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের ইনচার্জ শাখাওয়াত হোসেন তপু জানান, ঈদের বন্ধে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন পর্যটন স্পট গুলোতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকবে ট্যুরিস্ট পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম। পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা দ্বারা মনিটরিং করা হবে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, এ বছর লম্বা ছুটির কারনে ব্যাপক পর্যটকের আগমন ঘটবে মনে করে পর্যটকদের নিরাপত্তা জোরদার করেছি। মহিপুর থানা পুলিশ, কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ, ও কুয়াকাটা পৌর সভার পক্ষ থেকে পর্যটকদের সেবায় সার্বক্ষনিক প্রস্তুত রয়েছে।

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৫:২৮:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
১৫০ জন দেখেছেন

ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সাগরকন্যা কুয়াকাটা 

আপডেট : ০৫:২৮:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
ঈদুল ফিতরের ৯ দিনের ছুটিতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হবে সূর্যোদয় সূর্যাস্তের বেলাভূমি  ‘সাগরকন্যা’ খ্যাত পর্যটন নগরী কুয়াকাটা। পুরো রমজান মাস জুড়েই পর্যটক শূন্য ছিল কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত তবে ঈদুল ফিতরের বেশ বড় ছুটিকে কাজে লাগাতে ভ্রমণ পিপাসুরা ছুটে আসবেন কুয়াকাটায়। এবারের ঈদে ব্যবসা-বাণিজ্য গতি পাবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে ৬০ শতাংশ হোটেল মোটেল  কক্ষ বুকিং হয়েছে  বলে হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।পর্যটকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ও সেবা দিতে প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পৌর কর্তৃপক্ষ।
খুশির ছোঁয়া দেখা গেছে স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীদের, ইতিমধ্যেই পবিত্র ঈদুল ফিতর  উপলক্ষে   সাজিয়ে নিচ্ছে আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ , কেনাবেচা জন্য তৈরি রয়েছে  রাখাইন মহিলা মার্কেট, ঝিনুক মার্কেট, বার্মিজ আচার, কাঁকড়া ফ্রাই, পর্যটকদের ছবি তোলার জন্য প্রস্তুত ক্যামেরাম্যান সহ, চটপটি ফুচকার দোকানে দেখা গেছে মানুষের আনাগোনা, কুয়াকাটা দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণ পিপাসা মেটানোর জন্য কাজ করতে প্রস্তুত , মোটরসাইকেল ড্রাইভার, অটোরিকশা চালক,কুয়াকাটা থেকে সমুদ্রপথে  বিভিন্ন দ্বীপ  ও বনাঞ্চল  ভ্রমণ করানোর জন্য  প্রস্তুত করা হয়েছে ট্যুরিস্ট বোট,স্পিড বোট এবং ওয়াটার বাইক।
এদিকে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা, সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা এবং পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে স্থানীয় স্টেক হোল্ডার, ১৬টি পেশার প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি, ট্যুরিস্ট পুলিশের সমন্বয়ে বৈঠক হয়েছে।এদিকে সৈকতে দীর্ঘদিন পর্যটক কম থাকায় পুরো সৈকতজুড়ে তৈরি হয়েছে ভিন্নতা। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য চমৎকার রূপে ডানা মেলেছে। কাছ থেকে প্রকৃতির এমন দৃশ্য এক নজর দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কুয়াকাটা আসবেন পর্যটকরা।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ বলেন, ঈদে লম্বা ছুটি থাকার কারনে পর্যটকদের চাপ হবে। ইতিমধ্য প্রায় ৭০ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গিয়েছে। পর্যটকদের সেবায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) সেক্রেটারি জেনারেল জহিরুল ইসলাম জানান, রমজান মাস পর্যটকশূন্য ছিল কুয়াকাটা, সেই সুযোগে হোটেল-মোটেলগুলো পরিপাটি করে তাদের প্রস্তুতি সেরে নিয়েছে। ঈদের টানা ছুটিতে লাখো পর্যটকের আগমন ঘটতে পারে।
হোটেল মোটেল ওনার্স অসোসিয়েশনের সভাপতি মোতালেব শরিফ বলেন, আমরা আশাবাদী পবিত্র ঈদুল ফিতরের দীর্ঘ লম্বা ৯ দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে  কুয়াকাটায় অনেক ট্যুরিস্টের আগমন হবে।আবার আগের মত প্রাণ খুঁজে পাবে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, হাসি ফুটবে সকল ব্যবসায়ীদের মনে। ইতিমধ্যেই বড় হোটেল মোটেল গুলোতে ৬০% এবং ছোট হোটেল গুলো ৭০% এর মত আগাম বুকিং হয়েছে।দুই এক দিনের মধ্যে আরো বুকিং বাড়বে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের ইনচার্জ শাখাওয়াত হোসেন তপু জানান, ঈদের বন্ধে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন পর্যটন স্পট গুলোতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকবে ট্যুরিস্ট পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম। পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা দ্বারা মনিটরিং করা হবে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, এ বছর লম্বা ছুটির কারনে ব্যাপক পর্যটকের আগমন ঘটবে মনে করে পর্যটকদের নিরাপত্তা জোরদার করেছি। মহিপুর থানা পুলিশ, কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ, ও কুয়াকাটা পৌর সভার পক্ষ থেকে পর্যটকদের সেবায় সার্বক্ষনিক প্রস্তুত রয়েছে।