০৪:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কলাপাড়ায় খেয়া পারাপারে টোল আদায়ের নামে নীরব চাঁদাবাজি

এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

২৪’র গণঅভ্যুত্থানের আট মাস পরেও পটুয়াখালীর কলাপাড়ার তেগাছিয়া-সোনাতলা খেয়া পারাপারে যাত্রীদের জিম্মিদশার অবসান হয়নি। জনপ্রতি পাঁচ টাকার পরিবর্তে জোর করে যাত্রীদের কাছ থেকে সর্বনিম্ন ১০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। বিগত সরকারের চাঁদা আদায়ের এই সিস্টেমকে আরেক রাজনৈতিক দলের অনুসারিরা সচল রেখেছেন। বিষয়টি নিয়ে এখন জনগণের প্রশ্ন এর শেষ কবে?

খেয়ার মাঝির দেওয়া ভাষ্যমতে, সোনাতলা নদী পারাপার হয়ে ওই পথে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ শ’ মানুষ খেয়া পারাপার করেন। আর এদের কাছ থেকে পাঁচ টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করা হলে দৈনিক অতিরিক্ত হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে অন্তত: আড়াই হাজার টাকা। মাসে ৭৫ হাজার, বছরে কমপক্ষে নয় লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চাঁদাবাজ ওই চক্রটি।

খেয়ার আদায়কারী সজিব, সোজা সহজভাবেই জানালেন, আওয়ামী লীগের লোকজন নাই। এখন খেয়া তারা চালান। স্থানীয় গোলবুনিয়া গ্রামের গাজী বাড়ির দুই জনে খেয়া চালায়। সাধারণ মানুষ ভয়ে, মান-ইজ্জত নষ্টের শঙ্কায় এখন আর প্রতিবাদ কিংবা অনুযোগ, ক্ষোভ কোনটাই করছে না। তাদের অনেকের প্রশ্ন গত এক যুগ ধরে বলতে বলতে কখনো কয়েকদিন ঠিক ছিল। আবার যেই লাউ, সেই কদু।

স্থানীয়রা জানান, দিনে যাত্রী প্রতি ১০ টাকা নিলেও রাতে নেওয়া হয় আরো দিগুন, তিনগুন বেশি। আবার মোটর সাইকেল পারাপার করলে নেওয়া হয় ৪০-৫০ টাকা। এভাবে নীরবে সাধারণ মানুষের পকেট থেকে চাঁদাবাজদের মতো বছরে নয়-দশ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া দমনে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি স্থানীয়দের। ভুক্তভোগীরা এর অবসান চেয়েছেন। পাশাপাশি খেয়াঘাটে পারাপারের একটি রেটচার্ট টানানোর বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেন।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম জানান, পারাপারে রেটচার্ট টানানো হবে।আর এ বিষয়টি নিরসনের জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছি নাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাখ//আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৫:১৮:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
৯৯ জন দেখেছেন

কলাপাড়ায় খেয়া পারাপারে টোল আদায়ের নামে নীরব চাঁদাবাজি

আপডেট : ০৫:১৮:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

২৪’র গণঅভ্যুত্থানের আট মাস পরেও পটুয়াখালীর কলাপাড়ার তেগাছিয়া-সোনাতলা খেয়া পারাপারে যাত্রীদের জিম্মিদশার অবসান হয়নি। জনপ্রতি পাঁচ টাকার পরিবর্তে জোর করে যাত্রীদের কাছ থেকে সর্বনিম্ন ১০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। বিগত সরকারের চাঁদা আদায়ের এই সিস্টেমকে আরেক রাজনৈতিক দলের অনুসারিরা সচল রেখেছেন। বিষয়টি নিয়ে এখন জনগণের প্রশ্ন এর শেষ কবে?

খেয়ার মাঝির দেওয়া ভাষ্যমতে, সোনাতলা নদী পারাপার হয়ে ওই পথে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ শ’ মানুষ খেয়া পারাপার করেন। আর এদের কাছ থেকে পাঁচ টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করা হলে দৈনিক অতিরিক্ত হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে অন্তত: আড়াই হাজার টাকা। মাসে ৭৫ হাজার, বছরে কমপক্ষে নয় লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চাঁদাবাজ ওই চক্রটি।

খেয়ার আদায়কারী সজিব, সোজা সহজভাবেই জানালেন, আওয়ামী লীগের লোকজন নাই। এখন খেয়া তারা চালান। স্থানীয় গোলবুনিয়া গ্রামের গাজী বাড়ির দুই জনে খেয়া চালায়। সাধারণ মানুষ ভয়ে, মান-ইজ্জত নষ্টের শঙ্কায় এখন আর প্রতিবাদ কিংবা অনুযোগ, ক্ষোভ কোনটাই করছে না। তাদের অনেকের প্রশ্ন গত এক যুগ ধরে বলতে বলতে কখনো কয়েকদিন ঠিক ছিল। আবার যেই লাউ, সেই কদু।

স্থানীয়রা জানান, দিনে যাত্রী প্রতি ১০ টাকা নিলেও রাতে নেওয়া হয় আরো দিগুন, তিনগুন বেশি। আবার মোটর সাইকেল পারাপার করলে নেওয়া হয় ৪০-৫০ টাকা। এভাবে নীরবে সাধারণ মানুষের পকেট থেকে চাঁদাবাজদের মতো বছরে নয়-দশ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া দমনে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি স্থানীয়দের। ভুক্তভোগীরা এর অবসান চেয়েছেন। পাশাপাশি খেয়াঘাটে পারাপারের একটি রেটচার্ট টানানোর বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেন।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম জানান, পারাপারে রেটচার্ট টানানো হবে।আর এ বিষয়টি নিরসনের জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছি নাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাখ//আর