০৮:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নারী প্রধান শিক্ষকের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ!

আমিরুল ইসলাম কবির, গাইবান্ধা প্রতিনিধি

তুই সাংবাদিক তো কি হইছিস, তোকে সেন্ডেল খুলে পিটাবো’..! নারী প্রধান শিক্ষকের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ..! সুন্দরগঞ্জের দেশ রূপান্তরের সাংবাদিক শেখ মামুন উর রশিদ এর সঙ্গে সুন্দরগঞ্জের সাহাবাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফাতেমা আক্তার মিলির এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে ধিক্কার জানাই। যোগ্যতা আর নিয়মের তোয়াক্কা না করেই ক্ষমতার দাপটে সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদ বাগিয়ে নেন তিনি।

এই মিলি গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের প্রয়াত এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের শ্যালিকা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতির বোন।

অনিয়ম-দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিদ্যালয়টিতে তিনি একক আধিপত্য বিস্তার শুরু করেন। স্বামীর বড় ভাইকে সভাপতি বানিয়ে বিভিন্ন পদে নিয়োগের নামে কোটি টাকা পকেটস্থ করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক,অভিভাবক ও ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেও আজ কোন প্রতিকার পায়নি।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামীলীগের পতনের পর লাপাত্তা ছিলেন এই নারী প্রধান শিক্ষক। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার পর বুধবার (২৬শে মার্চ) সকালে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হাজির হন তিনি। তখন অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকেরা বক্তব্য জানতে তার কাছে গেলে তিনি রীতিমতো রেগে যান। কোন মন্তব্য না করে নানা বাজে শব্দচয়ন ও অশোভন আচরণ করেন। এক পর্যায়ে গালাগালসহ পায়ের স্যান্ডেল খুলে মারাপিট করার হুমকি দেন তিনি।

এব্যাপারে,এলাকার লোকজন, ভুক্তভোগীরা সহ সচেতন অভিজ্ঞ মহল দুর্নীতিবাজ ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ সহ সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বাখ//আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৭:৪৭:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
১০৯ জন দেখেছেন

নারী প্রধান শিক্ষকের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ!

আপডেট : ০৭:৪৭:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

তুই সাংবাদিক তো কি হইছিস, তোকে সেন্ডেল খুলে পিটাবো’..! নারী প্রধান শিক্ষকের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ..! সুন্দরগঞ্জের দেশ রূপান্তরের সাংবাদিক শেখ মামুন উর রশিদ এর সঙ্গে সুন্দরগঞ্জের সাহাবাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফাতেমা আক্তার মিলির এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে ধিক্কার জানাই। যোগ্যতা আর নিয়মের তোয়াক্কা না করেই ক্ষমতার দাপটে সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদ বাগিয়ে নেন তিনি।

এই মিলি গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের প্রয়াত এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের শ্যালিকা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতির বোন।

অনিয়ম-দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিদ্যালয়টিতে তিনি একক আধিপত্য বিস্তার শুরু করেন। স্বামীর বড় ভাইকে সভাপতি বানিয়ে বিভিন্ন পদে নিয়োগের নামে কোটি টাকা পকেটস্থ করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক,অভিভাবক ও ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেও আজ কোন প্রতিকার পায়নি।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামীলীগের পতনের পর লাপাত্তা ছিলেন এই নারী প্রধান শিক্ষক। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার পর বুধবার (২৬শে মার্চ) সকালে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হাজির হন তিনি। তখন অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকেরা বক্তব্য জানতে তার কাছে গেলে তিনি রীতিমতো রেগে যান। কোন মন্তব্য না করে নানা বাজে শব্দচয়ন ও অশোভন আচরণ করেন। এক পর্যায়ে গালাগালসহ পায়ের স্যান্ডেল খুলে মারাপিট করার হুমকি দেন তিনি।

এব্যাপারে,এলাকার লোকজন, ভুক্তভোগীরা সহ সচেতন অভিজ্ঞ মহল দুর্নীতিবাজ ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ সহ সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বাখ//আর