০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বদলগাছিতে দেবত্তর সম্পত্তির তিনশত বছরের টিলা কেটে মাটি বিক্রির অভিযোগ

নওগাঁর বদলগাছিতে দেবত্তর সম্পত্তির তিনশত বছরের পুরাতন মাটির টিলা কেটে খনন করে মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে নাজমুল হোসেন নামে এক মাটি খেকোর বিরুদ্ধে।
অবৈধ মাটি খনন বন্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ১১ মার্চ একটি লিখিত অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। অভিযোগের পর কয়েকদিন খনন বন্ধ রেখে স্থানীয় ভূমি অফিসসহ সকল মহলকে ম্যানেজ করে পুনরায় কৌশলে দিনের পরিবর্তে রাতে আবারো চলছে খনন উৎসব।
এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কোলা ইউনিয়নের কেশাইল মৌজায় দালান চাড়া নামক স্থানে প্রায় ৩শ বছরের পুরাতন ১৫ বিঘা মাটির টিলা রয়েছে। এলাকাবাসী টিলাটি দেবত্তর সম্পত্তি ও
পুরুকীর্তি হিসাবে জানেন। উক্ত স্থানে ১৯৯৫-১৯৯৬ সালে বন্যায় এলাকার অনেক মানুষ আশ্রয় নেয়। ইতিপূর্বে এখান হতে স্বর্ণের মূর্তি পাওয়ার জল্পনা রয়েছে।
গত ৯ মার্চ থেকে এলাকার আওয়ামী ভূমিদস্যু নাজমুল হোসেন প্রতিদিন ২০/২৫ টি ট্রাক্টরে লাগিয়ে মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করছে। এতে ধুলো-বালির কারণে এলাকার পরিবেশ, প্রতিবেশ, জীব বৈচিত্র, জনস্বাস্থ্য, জনস্বার্থ, সরকারি রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে তিনশত পুরুকীতি। অভিযোগে টিলাটি রক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের নিকট দাবী জানানো হয়।
অভিযোগ পেয়ে কোলা ইউনিয়ন সহকারী কর্মকর্তা গিয়ে খনন বন্ধ করে সর্তক করে দেন। এরপর কয়েকদিন বন্ধ রাখার পর স্থানীয় ভূমি অফিসসহ সকল মহলকে ম্যানেজ করে পুনরায় কৌশলে দিনের পরিবর্তে রাতে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি শুরু করছে।
শত বছরের পুরাতন এই টিলা খননে প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় চরম হতাশায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
এবিষয়ে স্থানীয় বয়জেষ্ঠ্য আরাম আলী ও বাদেশ হোসেন সহ একাধীক ব্যাক্তি জানান, জায়গাটি একটি পুরাতন উচুঁ টিলা ও দেবত্তর সম্পতি। ইতিপূর্বে এখান হতে স্বর্ণের মূর্তি পাওয়া গিয়েছে। জায়গাটি খনন করলে আবারও কিছু পাওয়া যাবে।
আর সেই লোভেই আওয়ামী ভূমিদস্যু নাজমুল খনন করে মাটি বিক্রি করছে। আমরা নিষেধ করলে মামলায় জড়ানো সহ বিভিন্ন ধরনের হুমকী-ধামকী দিচ্ছে। উপজেলা কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করলে কয়েকদিন খনন বন্ধ রেখে পুনরায় আবারও খনন করে মাটি বিক্রি শুরু করেছে। রহস্যজন ভাবে এখন প্রশাসন নিরব রয়েছে। আমরা মনে করছি নিশ্চয় মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছে।
মাটি ব্যবসায়ী নাজমুল হোসেন বলেন, আমি মাটি খননের জন্য আবেদন করেছি আর ভূমি অফিস থেকে আমাকে কেউ কিছু বলে নাই। এই বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই। যারা অভিযোগ করেছে তাদের বক্তব্য নিন।
ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, আমি অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পাওয়াই কাজ বন্ধ করে এসেছি। তারা যদি আবারও মাটি খনন করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে
বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী অফিসার( ইউএনও) ইসরাত জাহান ছনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বাখ//আর