০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বান কি মুনের সমর্থন ও পরামর্শ চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশে সহজে গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুনের সমর্থন ও পরামর্শ চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “আমরা নতুন করে শুরু করতে চাই; আমরা আপনাদের সহযোগিতা ও পরামর্শ চাই। আমরা এখন একটি দুর্দান্ত সুযোগ পেয়েছি।”

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) চীনের হাইনানে বোয়াও ফোরাম এশিয়ার বার্ষিক সম্মেলনের সাইডলাইনে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ড. ইউনূস এসব কথা বলেন।

বান কি মুন ড. ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, “তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক ভালো করবে।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ এখন এমন একজন নেতা পেয়েছে যিনি বিশ্বব্যাপী সম্মানিত।”

এসময়, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কোরিয়া ও বাংলাদেশ সম্পর্কের বিষয়ে স্মৃতিচারণ করেন এবং বলেন, “বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে আমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলাম। আমি সেই সময় বাংলাদেশকে কোরিয়ার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য চুক্তি সই করার ক্ষেত্রে আমার কলম ব্যবহার করেছিলাম। বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে, তবে রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিকভাবে আরও ভালো করা উচিত ছিল।”

ড. ইউনূস বলেন, এক সময় কোরিয়া ও বাংলাদেশ একই কাতারে থাকলেও এখন কোরিয়া অনেক এগিয়ে গেছে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ চমৎকার, কিন্তু রাজনৈতিক নেতৃত্ব আমাদের ধ্বংস করেছে।”

বান কি মুন তার বক্তৃতায় বলেন, “আমি ইয়ংওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সাংের সঙ্গে বাংলাদেশকে পরিচয় করিয়েছিলাম, যিনি পরবর্তীতে বাংলাদেশে একটি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলে তার ব্যবসা সম্প্রসারণ করেন।”

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস জানান, সম্প্রতি চট্টগ্রামে কোরিয়ান ইপিজেডের জমি সংক্রান্ত একটি সমস্যা সমাধান হয়েছে, যা আরও কোরিয়ান ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করবে।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ বৈঠকে জানিয়েছেন, ঢাকায় আসন্ন বিজনেস সামিটে কোরিয়া থেকে ২৬ সদস্যের একটি শক্তিশালী ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন কিহাক সাং।

এছাড়া, প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বান কি মুনের সহযোগিতা কামনা করেন এবং তাকে উপযুক্ত সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৩:২৫:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
৯৯ জন দেখেছেন

বান কি মুনের সমর্থন ও পরামর্শ চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট : ০৩:২৫:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশে সহজে গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুনের সমর্থন ও পরামর্শ চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “আমরা নতুন করে শুরু করতে চাই; আমরা আপনাদের সহযোগিতা ও পরামর্শ চাই। আমরা এখন একটি দুর্দান্ত সুযোগ পেয়েছি।”

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) চীনের হাইনানে বোয়াও ফোরাম এশিয়ার বার্ষিক সম্মেলনের সাইডলাইনে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ড. ইউনূস এসব কথা বলেন।

বান কি মুন ড. ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, “তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক ভালো করবে।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ এখন এমন একজন নেতা পেয়েছে যিনি বিশ্বব্যাপী সম্মানিত।”

এসময়, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কোরিয়া ও বাংলাদেশ সম্পর্কের বিষয়ে স্মৃতিচারণ করেন এবং বলেন, “বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে আমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলাম। আমি সেই সময় বাংলাদেশকে কোরিয়ার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য চুক্তি সই করার ক্ষেত্রে আমার কলম ব্যবহার করেছিলাম। বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে, তবে রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিকভাবে আরও ভালো করা উচিত ছিল।”

ড. ইউনূস বলেন, এক সময় কোরিয়া ও বাংলাদেশ একই কাতারে থাকলেও এখন কোরিয়া অনেক এগিয়ে গেছে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ চমৎকার, কিন্তু রাজনৈতিক নেতৃত্ব আমাদের ধ্বংস করেছে।”

বান কি মুন তার বক্তৃতায় বলেন, “আমি ইয়ংওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সাংের সঙ্গে বাংলাদেশকে পরিচয় করিয়েছিলাম, যিনি পরবর্তীতে বাংলাদেশে একটি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলে তার ব্যবসা সম্প্রসারণ করেন।”

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস জানান, সম্প্রতি চট্টগ্রামে কোরিয়ান ইপিজেডের জমি সংক্রান্ত একটি সমস্যা সমাধান হয়েছে, যা আরও কোরিয়ান ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করবে।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ বৈঠকে জানিয়েছেন, ঢাকায় আসন্ন বিজনেস সামিটে কোরিয়া থেকে ২৬ সদস্যের একটি শক্তিশালী ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন কিহাক সাং।

এছাড়া, প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বান কি মুনের সহযোগিতা কামনা করেন এবং তাকে উপযুক্ত সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।