০৬:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মধ্যরাতেও কাঁপল মিয়ানমার, মৃত্যু ছাড়াতে পারে ১০ হাজার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানার পর কমপক্ষে ১৪টি পরাঘাত (আফটারশক) হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ ও গবেষণা সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের (ইউএসজিএস) বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন।

সম্প্রচারমাধ্যমটি জানায়, বড় ভূমিকম্প আঘাত হানার কয়েক ঘন্টার মধ্যে বেশিরভাগ কম্পন অনুভূত হয়েছিল। এগুলোর বেশিরভাগের মাত্রা ছিল ৩ থেকে ৫-এর মধ্যে। সবচেয়ে শক্তিশালীটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭। বড় ভূমিকম্পের ১০ মিনিট পরই এই পরাঘাত হয়।

ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পে মিয়ানমারের মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। এর বাইরে যে পরিমাণ আর্থিক, পরিবেশগত এবং সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, আর্থিক মূল্যে তার পরিমাণ ছাড়াতে পারে ১ হাজার কোটি ডলার।

এদিকে ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১১টা ৫৬ মিনিটে ৪ দশমকিক ২ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প হয়। এটিও পরাঘাতের অংশ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় শহর মান্দালয়ের কাছে ৭ দশমিক ৭ তীব্রতার ভূমিকম্প আঘাত হানে। প্রায় ১১ মিনিট পর ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প–পরবর্তী কম্পন অনুভূত হয়। প্রতিবেশী বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড, চীন ও ভিয়েতনামেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এ ভূমিকম্পে মিয়ানমারে নিহতের সংখ্যা দেড় শতাধিক ছাড়িয়ে গেছে। অন্যদিকে থাইল্যান্ডে রাজধানী ব্যাংককে কয়েকটি বহুতল ভবন ধসে পড়ায় এখনও নিখোঁজ আছেন শতাধিক মানুষ। এছাড়া দেশটিতে এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ১০ জনের দেহ।

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ১০:৪১:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
১১৬ জন দেখেছেন

মধ্যরাতেও কাঁপল মিয়ানমার, মৃত্যু ছাড়াতে পারে ১০ হাজার

আপডেট : ১০:৪১:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫

মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানার পর কমপক্ষে ১৪টি পরাঘাত (আফটারশক) হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ ও গবেষণা সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের (ইউএসজিএস) বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন।

সম্প্রচারমাধ্যমটি জানায়, বড় ভূমিকম্প আঘাত হানার কয়েক ঘন্টার মধ্যে বেশিরভাগ কম্পন অনুভূত হয়েছিল। এগুলোর বেশিরভাগের মাত্রা ছিল ৩ থেকে ৫-এর মধ্যে। সবচেয়ে শক্তিশালীটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭। বড় ভূমিকম্পের ১০ মিনিট পরই এই পরাঘাত হয়।

ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পে মিয়ানমারের মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। এর বাইরে যে পরিমাণ আর্থিক, পরিবেশগত এবং সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, আর্থিক মূল্যে তার পরিমাণ ছাড়াতে পারে ১ হাজার কোটি ডলার।

এদিকে ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১১টা ৫৬ মিনিটে ৪ দশমকিক ২ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প হয়। এটিও পরাঘাতের অংশ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় শহর মান্দালয়ের কাছে ৭ দশমিক ৭ তীব্রতার ভূমিকম্প আঘাত হানে। প্রায় ১১ মিনিট পর ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প–পরবর্তী কম্পন অনুভূত হয়। প্রতিবেশী বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড, চীন ও ভিয়েতনামেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এ ভূমিকম্পে মিয়ানমারে নিহতের সংখ্যা দেড় শতাধিক ছাড়িয়ে গেছে। অন্যদিকে থাইল্যান্ডে রাজধানী ব্যাংককে কয়েকটি বহুতল ভবন ধসে পড়ায় এখনও নিখোঁজ আছেন শতাধিক মানুষ। এছাড়া দেশটিতে এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ১০ জনের দেহ।