০৫:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদের ছুটিতে পর্যটক বরণে প্রস্তুত কুয়াকাটা

অনলাইন ডেস্ক

এক ভ্রমণেই সূর্যোদয় ও অস্তের মনোরম দৃশ্য দেখার সুযোগ হওয়ায় দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। উৎসব-পার্বণে বাড়ে দর্শনার্থীর সংখ্যা। এর মধ্যে সবচেয়ে জমজমাট হয়ে ওঠে ঈদ মৌসুমে। এবারও ঈদুল ফিতর ঘিরে নানা প্রস্তুতি নিয়েছে হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা। সৌন্দর্যবর্ধনে আছে বাড়তি নজর।

ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত সমুদ্রকন্যা কুয়াকাটা। হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট ভাড়ায় দেয়া হচ্ছে বিশেষ ছাড়। পর্যটকদের নিরাপত্তায় রয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও ট্যুরিস্ট পুলিশসহ স্বেচ্ছাসেবক। ঈদে প্রতিদিন প্রায় শতকোটি টাকার বাণিজ্য হওয়ার আশা ব্যবসায়ীদের।

পর্যটকদের মধ্যে একজন বলেন, ‘এখানে মানুষ খুব বেশি নেই। প্রায় পুরোটাই ফাঁকা হওয়ায় ভালোই লাগছে।’

ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের মধ্যে একজন বলেন, ‘ঈদ সামনে রেখে মানুষের আনাগোনা বাড়বে, এতে আমাদের বেচাবিক্রি বাড়বে, আমরা সেই প্রত্যাশাই রাখছি।’

পর্যটকদের রাত্রিযাপনে সরকারিভাবে তেমন কোনো অবকাঠোমো গড়ে ওঠেনি। বেসরকারিভাবে গড়ে উঠেছে ২ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট। যেখানে অবকাশ যাপনের সুবিধা পাবেন ২৫ থেকে ৩০ হাজার পর্যটক। অভিজাত হোটেলসহ অন্যান্য আবাসিক হোটেল মোটেলে নানা সুযোগ সুবিধার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি হোটেল ভাড়ায় দেয়া হচ্ছে বিশেষ ছাড়।

কুয়াকাটার হোটেল ডি-মোরের জেনারেল ম্যানেজার জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘সরকারি ছুটি সহ প্রায় নয় দিনের ছুটি। আশা করছি ভালো সংখ্যক পর্যটক আসবেন। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ ছাড় দিয়েছি।’

কুয়াকাটা সিকদার রিসোর্ট এন্ড ভিলার জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আনোয়ারুল আজিম বলেন, ‘কালচারাল খাবারগুলো নিয়ে আমরা খাবারের মেনু সাজিয়েছি। সেখানে লাইভ কুকিং, বারবিকিউসহ অন্যান্য ব্যবস্থা থাকবে। আর বিনোদনের জন্য আমাদের বোটগুলোতে নতুনত্ব আনা হয়েছে।’

কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল মোতালেব শরীফ বলেন, ‘কুয়াকাটায় প্রতিবছরের তুলনায় এবার আরো বেশিই ভিড় হবে।’

পর্যটকদের সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ নিয়োজিত থাকবে ফায়ার সার্ভিস ও ট্যুরিস্ট পুলিশসহ স্বেচ্ছাসেবকরা।

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ইতোমধ্যেই আমরা আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা করেছি,সেখানে পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীসহ যারা ছিলেন তারা একাধিক স্তরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করবেন।’

কলাপাড়া বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদস্য সচিব মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা রাখবো। তাছাড়া এখানে যে হোটেলগুলো আছে সেগুলোতো পর্যটকদের কাছ থেকে যেন বাড়তি ভাড়া আদায় করতে না পারে সেদিকেও নজর দেবো।’

ঈদের ছুটিতে পর্যটকের আগমন পূর্বের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের। একই সঙ্গে প্রতিদিন প্রায় শতকোটি টাকা বাণিজ্য হতে পারে বলে আশা করছেন তারা।

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ১১:২৬:২৯ পূর্বাহ্ন, রোববার, ৩০ মার্চ ২০২৫
১০৩ জন দেখেছেন

ঈদের ছুটিতে পর্যটক বরণে প্রস্তুত কুয়াকাটা

আপডেট : ১১:২৬:২৯ পূর্বাহ্ন, রোববার, ৩০ মার্চ ২০২৫

এক ভ্রমণেই সূর্যোদয় ও অস্তের মনোরম দৃশ্য দেখার সুযোগ হওয়ায় দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। উৎসব-পার্বণে বাড়ে দর্শনার্থীর সংখ্যা। এর মধ্যে সবচেয়ে জমজমাট হয়ে ওঠে ঈদ মৌসুমে। এবারও ঈদুল ফিতর ঘিরে নানা প্রস্তুতি নিয়েছে হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা। সৌন্দর্যবর্ধনে আছে বাড়তি নজর।

ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত সমুদ্রকন্যা কুয়াকাটা। হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট ভাড়ায় দেয়া হচ্ছে বিশেষ ছাড়। পর্যটকদের নিরাপত্তায় রয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও ট্যুরিস্ট পুলিশসহ স্বেচ্ছাসেবক। ঈদে প্রতিদিন প্রায় শতকোটি টাকার বাণিজ্য হওয়ার আশা ব্যবসায়ীদের।

পর্যটকদের মধ্যে একজন বলেন, ‘এখানে মানুষ খুব বেশি নেই। প্রায় পুরোটাই ফাঁকা হওয়ায় ভালোই লাগছে।’

ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের মধ্যে একজন বলেন, ‘ঈদ সামনে রেখে মানুষের আনাগোনা বাড়বে, এতে আমাদের বেচাবিক্রি বাড়বে, আমরা সেই প্রত্যাশাই রাখছি।’

পর্যটকদের রাত্রিযাপনে সরকারিভাবে তেমন কোনো অবকাঠোমো গড়ে ওঠেনি। বেসরকারিভাবে গড়ে উঠেছে ২ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট। যেখানে অবকাশ যাপনের সুবিধা পাবেন ২৫ থেকে ৩০ হাজার পর্যটক। অভিজাত হোটেলসহ অন্যান্য আবাসিক হোটেল মোটেলে নানা সুযোগ সুবিধার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি হোটেল ভাড়ায় দেয়া হচ্ছে বিশেষ ছাড়।

কুয়াকাটার হোটেল ডি-মোরের জেনারেল ম্যানেজার জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘সরকারি ছুটি সহ প্রায় নয় দিনের ছুটি। আশা করছি ভালো সংখ্যক পর্যটক আসবেন। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ ছাড় দিয়েছি।’

কুয়াকাটা সিকদার রিসোর্ট এন্ড ভিলার জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আনোয়ারুল আজিম বলেন, ‘কালচারাল খাবারগুলো নিয়ে আমরা খাবারের মেনু সাজিয়েছি। সেখানে লাইভ কুকিং, বারবিকিউসহ অন্যান্য ব্যবস্থা থাকবে। আর বিনোদনের জন্য আমাদের বোটগুলোতে নতুনত্ব আনা হয়েছে।’

কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল মোতালেব শরীফ বলেন, ‘কুয়াকাটায় প্রতিবছরের তুলনায় এবার আরো বেশিই ভিড় হবে।’

পর্যটকদের সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ নিয়োজিত থাকবে ফায়ার সার্ভিস ও ট্যুরিস্ট পুলিশসহ স্বেচ্ছাসেবকরা।

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ইতোমধ্যেই আমরা আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা করেছি,সেখানে পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীসহ যারা ছিলেন তারা একাধিক স্তরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করবেন।’

কলাপাড়া বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদস্য সচিব মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা রাখবো। তাছাড়া এখানে যে হোটেলগুলো আছে সেগুলোতো পর্যটকদের কাছ থেকে যেন বাড়তি ভাড়া আদায় করতে না পারে সেদিকেও নজর দেবো।’

ঈদের ছুটিতে পর্যটকের আগমন পূর্বের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের। একই সঙ্গে প্রতিদিন প্রায় শতকোটি টাকা বাণিজ্য হতে পারে বলে আশা করছেন তারা।