০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালীতে জেলখানার ব্যারাক থেকে জেলরক্ষীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি

পটুয়াখালীতে জেলা কারাগারের ব্যারাক থেকে সাজেদুর রহমান মিলন (৪২) নামে এক জেলরক্ষীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) সন্ধার দিকে জেলা কারাগারের নিচ তলার একটি ব্যারাকের ভেতরের ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় তার সাজেদুরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্নহত্যা করেছেন। নিহত সাজেদুর রহমান শেরপুর জেলার শ্রিবর্ধি থানার সাইফুল ইসলামের ছেলে। মৃত সাজেদুরের এক ছেলে ও দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।

জেলখানার জেলরক্ষী ও পরিবার সূত্রে জানাগেছে, গতকাল দুপুর ১২টায় ডিউটি শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হয় জেলরক্ষী সাজেদুর রহমানের। ডিউটি শেষ করে তিনি বাসায় না যাওয়ায় তাঁর স্ত্রী ফাহিমা বেগম তাকে খোজ করতে কারাগারে পৌঁছান। অনেক খোঁজাখুজির পর নিচ তলার একটি ব্যারাকের দরজা ভেঙ্গে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় জেলরক্ষীরা ও তার স্ত্রী। এসময় তাঁকে নামিয়ে দ্রুত পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় তাঁর স্ত্রী ফাহিমা বেগম সঙ্গে ছিলেন।

তবে নিহত কারারক্ষী সাজেদুর রহমানের স্ত্রী ফাহিমা বেগম জানান, তার স্বামী সাজেদুর রহমান বেশকিছুদিন অসুস্থ ছিলো। আর সেজন্য তিনি জেলা কারাগারের জেলার লাভলু স্যারের কাছে ছুটির আবেদন করেন। কিন্তুু লাভলু স্যার ছুটি না দিয়ে উল্টো আমার স্বামীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং বান্দরবান বদলি করিয়ে দিবেন বলে হুমকি ধামকি দেন। এছাড়া স্যার যদি আমার স্বামীকে ছুটি দিতো তবে এমনটি আজ হতো না বলে জানান তিনি।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার শুভ সাহা জানান, সন্ধ্যার পরে সাজেদুর রহমান নামে কারারক্ষিকে মৃত নিয়ে আসা হয়। তাঁর গলার পেছন দিকে দাগ ছিল। আপাতত তাঁর মরদেহ পোষ্টমর্টেমের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা কারাগারের জেলার মোঃ লাভলু জানান, সাজেদুর রহমান অসুস্থ থাকার কারনে কয়েকদিন আগেও ছুটিতে ছিলো। গালিগালাজের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি সাজেদুর রহমানকে কোন ধরনের গালিগালাজ করিনি। সে আমার সহকর্মী তাকে কেন গালিগালাজ করব আমি।

 

বাখ//আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৩:১৭:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫
৭৫ জন দেখেছেন

পটুয়াখালীতে জেলখানার ব্যারাক থেকে জেলরক্ষীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার

আপডেট : ০৩:১৭:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫

পটুয়াখালীতে জেলা কারাগারের ব্যারাক থেকে সাজেদুর রহমান মিলন (৪২) নামে এক জেলরক্ষীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) সন্ধার দিকে জেলা কারাগারের নিচ তলার একটি ব্যারাকের ভেতরের ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় তার সাজেদুরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্নহত্যা করেছেন। নিহত সাজেদুর রহমান শেরপুর জেলার শ্রিবর্ধি থানার সাইফুল ইসলামের ছেলে। মৃত সাজেদুরের এক ছেলে ও দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।

জেলখানার জেলরক্ষী ও পরিবার সূত্রে জানাগেছে, গতকাল দুপুর ১২টায় ডিউটি শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হয় জেলরক্ষী সাজেদুর রহমানের। ডিউটি শেষ করে তিনি বাসায় না যাওয়ায় তাঁর স্ত্রী ফাহিমা বেগম তাকে খোজ করতে কারাগারে পৌঁছান। অনেক খোঁজাখুজির পর নিচ তলার একটি ব্যারাকের দরজা ভেঙ্গে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় জেলরক্ষীরা ও তার স্ত্রী। এসময় তাঁকে নামিয়ে দ্রুত পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় তাঁর স্ত্রী ফাহিমা বেগম সঙ্গে ছিলেন।

তবে নিহত কারারক্ষী সাজেদুর রহমানের স্ত্রী ফাহিমা বেগম জানান, তার স্বামী সাজেদুর রহমান বেশকিছুদিন অসুস্থ ছিলো। আর সেজন্য তিনি জেলা কারাগারের জেলার লাভলু স্যারের কাছে ছুটির আবেদন করেন। কিন্তুু লাভলু স্যার ছুটি না দিয়ে উল্টো আমার স্বামীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং বান্দরবান বদলি করিয়ে দিবেন বলে হুমকি ধামকি দেন। এছাড়া স্যার যদি আমার স্বামীকে ছুটি দিতো তবে এমনটি আজ হতো না বলে জানান তিনি।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার শুভ সাহা জানান, সন্ধ্যার পরে সাজেদুর রহমান নামে কারারক্ষিকে মৃত নিয়ে আসা হয়। তাঁর গলার পেছন দিকে দাগ ছিল। আপাতত তাঁর মরদেহ পোষ্টমর্টেমের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা কারাগারের জেলার মোঃ লাভলু জানান, সাজেদুর রহমান অসুস্থ থাকার কারনে কয়েকদিন আগেও ছুটিতে ছিলো। গালিগালাজের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি সাজেদুর রহমানকে কোন ধরনের গালিগালাজ করিনি। সে আমার সহকর্মী তাকে কেন গালিগালাজ করব আমি।

 

বাখ//আর