০৪:১০ পূর্বাহ্ন, রোববার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রেমিট্যান্সযোদ্ধার সম্পদ দখলের চেষ্টা ও হত্যার হুমকি : পটুয়াখালীতে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
রেমিটেন্সযোদ্ধা সিঙ্গাপুর প্রবাসী মো. শাহজামাল হাওলাদার অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় একটি চিহ্নিত মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী চক্র তার পরিবারের সম্পদ দখলের চেষ্টার পাশাপাশি তার ছোট ভাইকে হত্যার হুমকি দিয়েছে।আজ দুপুরে পটুয়াখালী পটুয়াখালী প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন। এছাড়া তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকায় ওই চক্রটি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
রবিবার (৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শাহজামাল বলেন, “আমার বাবা-মা জীবিত থাকা অবস্থাতেই আবু জাফর ও আবুল কালাম নামে দুই ইয়াবা ব্যবসায়ী আমাদের পরিবারকে নানাভাবে নির্যাতন করত। তারা স্বৈরাচার সরকারের সময় রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়। বর্তমানে সেই প্রভাব খাটিয়ে আমার কষ্টার্জিত অর্থে কেনা গরু-মহিষ ও জমি দখলের ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে আমার ছোট ভাই রাহাতকে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে অপহরণ করে মারধর করা হয় এবং অস্ত্রের মুখে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। পরে তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়। তাকে জোরপূর্বক অবৈধ কার্যকলাপ নিয়ে প্রতিবাদ না করার মুচলেকা নেওয়া হয়।”
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, ঘটনার পর থানায় জানালেও পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। উল্টো অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আমাদের দুই ভাইয়ের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করে এবং পরে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর অপচেষ্টা চালায়।
শাহজামাল বলেন, “আমরা পরিবারিকভাবে বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমার বাবা ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি, আমি নিজে যুবদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। অথচ বর্তমানে কিছু স্থানীয় স্বার্থান্বেষী বিএনপি নেতাও ওই চক্রটির পক্ষ নিচ্ছে এবং আমাদের পরিবারের সম্মান ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে।”
তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এই চক্রের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। পাশাপাশি সরকারের কাছে দাবি, নিরপেক্ষ তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মো. শাহজামাল হাওলাদার, মো. আবুল ওহাব এবং মো. রাহাত হাওলাদার।
যদিও সংবাদ সম্মেলনে আবু জাফর ও আবুল কালামকে চিহ্নিত মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী হিসেবে দাবি করা হয়, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মো. শাহজামাল হাওলাদার এসব অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মো. আবু জাফর বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাকে এবং আমার পরিবারকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতেই এসব মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে।”
উল্লেখ্য থাকে, গত বুধবার (২ এপ্রিল) পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কল্যাণকলস গ্রামে মো. রাহাত হাওলাদার, মোহাম্মদ আবুল ওহাব, মো. শাহজামাল ও মো. ফরহাদ হোসেন বাবুসহ অন্য সহযোগীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে।
বাখ//আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ১০:০৯:৪০ অপরাহ্ন, রোববার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
১১২ জন দেখেছেন

রেমিট্যান্সযোদ্ধার সম্পদ দখলের চেষ্টা ও হত্যার হুমকি : পটুয়াখালীতে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

আপডেট : ১০:০৯:৪০ অপরাহ্ন, রোববার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
রেমিটেন্সযোদ্ধা সিঙ্গাপুর প্রবাসী মো. শাহজামাল হাওলাদার অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় একটি চিহ্নিত মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী চক্র তার পরিবারের সম্পদ দখলের চেষ্টার পাশাপাশি তার ছোট ভাইকে হত্যার হুমকি দিয়েছে।আজ দুপুরে পটুয়াখালী পটুয়াখালী প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন। এছাড়া তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকায় ওই চক্রটি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
রবিবার (৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শাহজামাল বলেন, “আমার বাবা-মা জীবিত থাকা অবস্থাতেই আবু জাফর ও আবুল কালাম নামে দুই ইয়াবা ব্যবসায়ী আমাদের পরিবারকে নানাভাবে নির্যাতন করত। তারা স্বৈরাচার সরকারের সময় রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়। বর্তমানে সেই প্রভাব খাটিয়ে আমার কষ্টার্জিত অর্থে কেনা গরু-মহিষ ও জমি দখলের ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে আমার ছোট ভাই রাহাতকে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে অপহরণ করে মারধর করা হয় এবং অস্ত্রের মুখে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। পরে তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়। তাকে জোরপূর্বক অবৈধ কার্যকলাপ নিয়ে প্রতিবাদ না করার মুচলেকা নেওয়া হয়।”
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, ঘটনার পর থানায় জানালেও পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। উল্টো অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আমাদের দুই ভাইয়ের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করে এবং পরে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর অপচেষ্টা চালায়।
শাহজামাল বলেন, “আমরা পরিবারিকভাবে বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমার বাবা ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি, আমি নিজে যুবদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। অথচ বর্তমানে কিছু স্থানীয় স্বার্থান্বেষী বিএনপি নেতাও ওই চক্রটির পক্ষ নিচ্ছে এবং আমাদের পরিবারের সম্মান ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে।”
তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এই চক্রের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। পাশাপাশি সরকারের কাছে দাবি, নিরপেক্ষ তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মো. শাহজামাল হাওলাদার, মো. আবুল ওহাব এবং মো. রাহাত হাওলাদার।
যদিও সংবাদ সম্মেলনে আবু জাফর ও আবুল কালামকে চিহ্নিত মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী হিসেবে দাবি করা হয়, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মো. শাহজামাল হাওলাদার এসব অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মো. আবু জাফর বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাকে এবং আমার পরিবারকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতেই এসব মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে।”
উল্লেখ্য থাকে, গত বুধবার (২ এপ্রিল) পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কল্যাণকলস গ্রামে মো. রাহাত হাওলাদার, মোহাম্মদ আবুল ওহাব, মো. শাহজামাল ও মো. ফরহাদ হোসেন বাবুসহ অন্য সহযোগীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে।
বাখ//আর